“উনি হয়তো দলে অসম্মানিত হয়েছেন। দল তাঁকে হয়তো গুরুত্ব দেয়নি। বারবার অপমানিত হয়েছেন। সব পরিস্থিতি বিচার করেই হয়তো উনি দল বদলেছেন।” কার্যত বাবুল সুপ্রিয়র পাশে দাঁড়িয়েই এই মন্তব্য করেন রায়গঞ্জের বিজেপি (Bjp) বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী (Krishna Kalyani)। শুধু তাই নয়, জল্পনা উস্কে তিনি নিজেও ক্ষোভ-বিক্ষোভের কথা তিনি দলকে জানিয়েছেন। নির্দিষ্ট সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছেন। সেই সময় পার হলে কৃষ্ণ কল্যাণী নতুন করে চিন্তাভাবনা করবেন সংবাদ মাধ্যমে জানান।
ভোটের আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান কৃষ্ণ কল্যাণী। তবে শুরু থেকেই তাল কাটছিল। ভোটের দিন পনেরো আগে উত্তর দিনাজপুরে (Uttar Dinajpur) জেলা সভাপতি বদল করে বিজেপি। নতুন জেলা সভাপতি হন বাসুদেব সরকার। তা নিয়ে আপত্তি করেন কৃষ্ণ। রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর (Debashei Chowdhury) বিরুদ্ধেও একাধিক বার তোপ দেগেছেন তিনি। তাঁর কটাক্ষ, “মন্ত্রিত্ব যাওয়ায় মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন দেবশ্রী”। কৃষ্ণ বলেন, তিনি ক্ষোভের কথা দলকে জানিয়েছেন। দল সময় চেয়েছে। সেই সময়সীমা পেরোলে তিনি নতুন করে চিন্তাভাবনা করবেন। তিনি স্পষ্ট জানান, দলীয় নেতৃত্বকে ঠিক করতে হবে, তাঁরা জেলা সংগঠনের গুরুত্ব দেবেন না তাঁকে? সদুত্তর না পাওয়া পর্যন্ত দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন কৃষ্ণ।