ভাঙন রোখাই চ্যালেঞ্জ! দায়িত্ব নিয়ে সবাইকে বিজেপিতে থাকার অনুরোধ সুকান্তর

দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে উচ্চশিক্ষিত, স্বচ্ছ ভাবমূর্তির সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumder) সভাপতির দায়িত্ব দিল বিজেপি (Bjp)। আর দলের নেতাকর্মীদের ধরে রাখাই যে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ দায়িত্ব নিয়েই বুঝে গিয়েছেন তিনি। সেই কারণেই নতুন রাজ্য সভাপতি বললেন, দল না ছাড়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ করব। তবে, তাঁর মতে, যাঁদের নীতি-আদর্শ আছে, তাঁরা দলেই থাকবেন। “অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এই দলে কেউ থাকতে পারবেন না”। একই সঙ্গে যাঁরা দল ছেড়েছেন, তাঁদের সম্পর্কে সরাসরি কিছু না বললেও, তাঁরা থাকলে যে বিজেপি সমৃদ্ধ হত সে কথা স্বীকার করেছেন তিনি।

দলকে আরও শক্তিশালী করাই তাঁর লক্ষ্য। শুধু তাই নয়, দলের নীচুতলার কর্মীদের প্রাধান্য দিলেন সুকান্ত। বললেন, তাঁরাই আসল কাজ করেন। নেতাদের শুধু সামনে দেখা যায়। তবে কিছু ক্ষেত্রে কর্মীদের পাশে থাকতে না পারার জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন নবনিযুক্ত রাজ্য সভাপতি। আগামী দিনে কর্মীদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন তিনি।

পূর্বসূরী দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য কী? সুকান্ত মজুমদার জানান, দলকে শক্তিশালী করেছেন দিলীপ ঘোষ। রাজ্যে বিজেপির যে সংখ্যা বৃদ্ধি তার কাণ্ডরী দিলীপ বলে মন্তব্য করেছেন নতুন রাজ্য সভাপতি।

বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের জন্ম ১৯৭৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর। তিনি বোটানিতে পিএইচডি। পেশায় অধ্যপক। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষকে পরাজিত করে বালুরঘাট থেকে জয়ী হন। আরএসএসের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ অনেকদিনের। তবে, প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে তিনি একেবারেই নতুন মুখ।

দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত সুকান্ত মজুমদার। নভেম্বরে দিলীপ ঘোষের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। দিলীপ ঘোষই না কি সুকান্তর নাম প্রস্তাব করেছিলেন বলে সূত্রের খবর।

নতুন রাজ্য সভাপতিকে টুইটে অভিনন্দন জানান সদ্য প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

উচ্চশিক্ষিত সুকান্ত মজুমদার রাজনীতিতে স্বচ্ছ মুখ। তাঁকে বেছে নেওয়া বিজেপির সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত বলে মত তথাগত রায়ের (Tathagata Ray)।

তবে তৃণমূল (Tmc) নেতা তথা সাংসদ সৌগত রায়ের (Sougata Ray) মতে, দিলীপ ঘোষের মতো পরিশ্রমী নেতাকে সরিয়ে আখেরে লাভ করতে পারবে না বিজেপি। তাছাড়া, রাজনীতিতে একেবারেই আনকোরা সুকান্তর পক্ষে বাংলাকে চিনে উঠতে না উঠতেই আগামী লোকসভা নির্বাচন এসে যাবে। সুতরাং এতে বিজেপির কোন সুবিধাই হবে না বলে মত সৌগত রায়ের। বাবুল সুপ্রিয়র দল ছাড়ার মাসুলই দিলীপ ঘোষকে দিতে হল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন- গান্ধী জয়ন্তীতেই কংগ্রেসের হাত ধরবেন কানাইয়া কুমার-জিগ্নেশ মেভানি

advt 19

 

 

Previous articleগান্ধী জয়ন্তীতেই কংগ্রেসের হাত ধরবেন কানাইয়া কুমার-জিগ্নেশ মেভানি
Next articleযোগী-রাজ্যের কীর্তি! টিকার পাঁচটি ডোজ নিলেন বিজেপি নেতা?