কোথাও যেন একটা সুর কাটছিল! অপসারিত হয়ে বিস্ফোরক দিলীপ

বাবুল সুপ্রিয়র (Babul Supriyo) দলত্যাগের ধাক্কা নয়, নতুন মুখ চেয়ে নিজেই সরে যেতে চেয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। এখন বিশ্ববাংলা সংবাদকে (Ekhon BiswabanglaSangbad) স্পষ্টভাষায় একথা জানিয়ে বিজেপির সদ্যপ্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বললেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর কিছু সাফল্য এসেছে কিন্তু পূর্ণাঙ্গ আসেনি। নতুন মুখ এসে যাতে সেই সাফল্য ভরা দেয় তাই রদবদলের কথা বলেছিলাম। আগেই জানতাম এই ঘটনা ঘটতে চলেছে।

সোমবার রাতে দিল্লি থেকে পাঠানো প্রেস রিলিজে রাজ্য বিজেপির হাতবদল হল দিলীপ ঘোষ (DilipGhosh) থেকে সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder) হাতে। কিন্তু রাজ্য বিজেপির সভাপতি নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ হতে একবছরের বেশি সময় বাকি ছিল। তার আগেই কেন অপসারণ! দিলীপ বললেন, আমার মনে হয়েছিল বিধানসভা ভোটের পর কোথাও একটা সুর কাটছে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বোধহয় নতুন মুখের সন্ধান করছিলেন। ফলে পুরসভা ভোটের আগে যাতে নতুন সভাপতি সংগঠন গোছাতে পারেন তার জন্য আগেই ছেড়ে দেওয়াটা আমার সঠিক সিদ্ধান্ত বলে মনে হয়েছে। যারা এর মধ্যে আমার পরাজয় দেখছেন তাঁরা সেই আনন্দেই থাকুন।

আদি বিজেপির সঙ্গে নব্য বিজেপির দ্বন্দ্বেই কি সরতে হল। দিলীপের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ঠিক করেছিল অন্য দলের লোকজনকে নেওয়া হবে। আমি দলের একনিষ্ঠ সৈনিক হিসেবে সেই দায়িত্ব পালন করেছি। এরপর দলে দ্বন্দ্ব থাকতেই পারে, যেকোনো দলেই থাকে। দ্বন্দ্ব না থাকলে এগোবে কী করে? নতুন সভাপতি নিশ্চিতভাবে তা যথাযথ ভাবে ‘ট্যাকেল’ করবেন।

মুকুল রায়ের (Mukul Roy) ছেড়ে যাওয়া পদে আপনি অভিষিক্ত হলেন। কেমন লাগছে? দিলীপের জবাব, কে কোন পদে ছিল সেসব ভাবা অবান্তর। দলই শেষ কথা, দল না থাকলে ব্যক্তি থাকবে না। সর্বভারতীয় সহ সভাপতি হিসেবে কিছু রাজ্যের অবজারভারের দায়িত্ব থাকে, তা দিলে পালন করবো। আর নতুন কমিটি যদি রাজ্যে আমার কর্মসূচী ঠিক করে সেইমতো চলবো। নইলে নিজের সিদ্ধান্তে কাজ করবো। আমি জেলায় ঘুরে ঘুরে সংগঠন করতে ভালোবাসি, সেটাই করবো।

দিলীপের কথায় কোথাও যেন একটা অপূর্ণতা ধরা পড়লো। ‘মিশন বেঙ্গল’ সাংসদের কাছে অধরাই রয়ে গেল।

আরও পড়ুন- যোগী-রাজ্যের কীর্তি! টিকার পাঁচটি ডোজ নিলেন বিজেপি নেতা?

advt 19

 

Previous articleবিজেপি এখন একা: ফিরহাদ
Next articleআজ সকালেই শহরে বিজেপির সদ্য নিযুক্ত রাজ্য সভাপতি সুকান্ত !