কৃষি আইনের প্রতিবাদে ডাকা ভারত বনধে সামিল বাংলাও, জেলায় জেলায় বিক্ষোভ

৩ কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে সোমবার দেশজুড়ে ভারত বনধের ডাক দিয়েছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। আজ ভোর ৬টা থেকে বিকেল ৪টে অবধি বনধ জারি থাকবে। গাজিপুর সীমান্তে বিশাল সমাবেশ করবে কৃষক সংগঠনগুলি। যদিও গতকালই সংযুক্ত কৃষক মোর্চার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে,  তারা শান্তিপূর্ণভাবে এই বনধ করবে।যেহেতু গতবছর আজকের দিনেই এই বিল পাশ হয়, সেই কারণেই আজকের দিনটাকেই তারা বেছে নিয়েছেন ।

ভারত বনধের সমর্থনে ভারতের অনান্য রাজ্যের মতো বাংলাতেও বনধের সমর্থনে এগিয়ে এসেছে কংগ্রেস ও বাম সংগঠনগুলি।এমনকী কৃষকদের ডাকা বনধের সমর্থন জানিয়েছেন তৃণমূল সংগঠনও। আজ সকালেই ঘাটাল-পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কে মিছিল করে গাড়ি গুলিকে আটকে দেয় বাম সংগঠনের কর্মী-সমর্থকরা। সাতসকালেই লাগাতার আন্দোলনে নেমেছেন বাম-কর্মীরা । কলকাতায় যান চলাচল আপাতত স্বাভাবিক থাকলেও, সংলগ্ন এলাকা এবং জেলাগুলিতে বনধের ভালোই প্রভাব পড়েছে। যাদবপুর, শ্যামনগরে সকাল থেকে চলছে রেল অবরোধ। হুগলির বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা অবরোধে নেমেছেন সিপিআইএম কর্মী, সমর্থকরা। বীরভূমেও বেসরকারি বাস বন্ধ করে দেয় ধর্মঘটীরা। নৈহাটিতে কল্যাণী এক্সপ্রেস হাইওয়ে আটকে বনধ সমর্থন করা হয়। হরিণঘাটায় বিজেপি বিধায়কের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান বাম কর্মীরা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

অন্যদিকে, এদিন সকালেই গোঘাটে আরামবাগ-মেদিনীপুর রাজ্য সড়ক ও আরামবাগ শহরে আরামবাগ-কলকাতা রাজ্য সড়কে অবরোধে বসেন বাম নেতা ও কর্মীরা।দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার আরামবাগ ডিপো থেকেও বাস বেরোতে দেখা যায়নি।কোচবিহারে আজ সকাল থেকে রাস্তায় বাস নামেনি।এমনকি বাজারও বন্ধ করে দেওয়া হয়। জলপাইগুড়িতেও কৃষক ধর্মঘটের সমর্থনে রাস্তায় যানবাহন বিশেষ চলছে না। বামেরা মিছিলের আয়োজন করলে পুলিশ তা আটকে দেয়। জোর করে সরকারি বাস আটকানোর অভিযোগ ওঠে ধর্মঘট সমর্থনকারীদের বিরুদ্ধে। এক্ষেত্রেও পুলিশ কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে জলপাইগুড়ি শহরে বন্ধ দোকানপাট, রাস্তায় নামেনি প্রায় কোনও বেসরকারি বাসই। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট শহরেও চলছে না বেসরকারি বাস।

উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরেও ট্রেন আটকে দেওয়া হয়। পতাকা হাতে সিপিআইএম সমর্থকরা রেলট্র্যাকের উপর বসে অবরোধ শুরু করেন। কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় বাম কর্মীরা। হাওড়ার ডোমজুড়-সহ কয়েকটি জায়গায় পথ অবরোধ চলছে। চুঁচুড়ায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভে শামিল ধর্মঘট সমর্থকরা। বারাসতের চাঁপাডালি মোড়েও চলছে অবরোধ। তবে পুলিশও সতর্ক। চলছ কড়া নজরদারি। প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে চলছে পুলিশ পিকেটিং। লেকটাউনের যশোর রোডেও কাস্তে-হাতুড়ি-তারা পতাকা নিয়ে রাস্তায় মিছিল করেন সিপিএম সমর্থকরা।

advt 19

Previous articleবিজেপির ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলিকে টপকে শ্রম পোর্টালে নাম নথিভুক্তিতে দুইয়ে বাংলা
Next articleভবানীপুরে জামানতও যেতে পারে, মুখ লুকোতে রিগিং তত্ত্ব খাড়া বিজেপি রাজ্য সভাপতির