পর্যটন শিল্পকে বাঁচাতে নভেম্বর থেকে কোভিড বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করছে অসম

বিশেষ প্রতিনিধি, গুয়াহাটি:

করোনার জন্য ব্যাপক ক্ষতির মুখে অসমের পর্যটন।সেই কারণে নভেম্বর মাস থেকেই কোভিড নিয়ে কড়াকড়ি তুলে দিতে চলেছে অসম সরকার। গত বছরের তুলনায় এখন করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই উন্নত হওয়ার কারণেই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভাবনা চিন্তা শুরু হয়েছে।
অসমের পর্যটন শিল্পকে বাঁচাতে নানা বিধিনিষেধ এবং নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে চাইছে অসমের সরকার। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন, তারা চেষ্টা করছেন আগামী ১ নভেম্বর থেকে করোনার কারণে যে সব বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে তা তুলে নিতে। এর ফলে অসমের পর্যটনক্ষেত্রও উপকৃত হবে।
বিশ্ব পর্যটন দিবসে একটি অনুষ্ঠানে অসমের মুখ্যমন্ত্রী জানান, গত বছর থেকে করোনার কারণে ট্যুর অপারেটর এবং গাইডরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তাদের কিছুটা সুবিধা দেওয়ার জন্য ১৪২জন ট্যুর অপারেটরকে ২ লাখ টাকা করে এবং ৬০৫ জন গাইডকে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শুধুমাত্র ১ নভেম্বর থেকে কোভিডের কারণে যেসব নিষেধাজ্ঞা আছে সেটা প্রত্যাহার করে নিতে চাইছি না। দ্রুত আরও বেশি মানুষ যাতে করোনার টিকা পান সেই চেষ্টাও করছি।’ চা ছাড়া এই পর্যটন শিল্প থেকেও একটি মোটা আয় হয় অসমের। তাই এবার পর্যটনক্ষেত্রকে আরও উন্নত করতে চাইছে অসম সরকার।

আরও পড়ুন – ত্রিপুরা: তৃণমূলে যোগ চারশোরও বেশি নেতাকর্মীর, আম্বাসাতে খুলল নয়া দলীয় অফিস

অসমে পর্যটকরা কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যান, কামাখ্যা সহ কিছু পরিচিত জায়গাতেই আসেন। কিন্তু এই রাজ্যে অনেক জায়গা আছে যেখানে পর্যটকরা যেতে ততটা আগ্রহী নন। এবার এই সব স্বল্প-পরিচিত জায়গাগুলিকেও তুলে ধরতে চাইছেন সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। ডিমা হাসাও, কার্বি আলং, বোড়োল্যান্ড এলাকা সহ আরও কিছু এলাকাকে তুলে ধরার জন্যও ট্যুর অপারেটরদের কাছে আবেদন জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘এই রাজ্যের যে প্রথাগত খাবার, হস্তশিল্প, আদিবাসী সংস্কৃতি এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আছে সেগুলোকে এবার তুলে ধরতে হবে।’

 

advt 19

 

Previous article‘লোকমাতা রাসমণির কথা জনে জনে পৌঁছে দেওয়া উত্তরসূরীদের কর্তব্য’ রাসমণির জন্মদিনে বললেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য
Next articleদিনহাটা আসনে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা হতেই তৎপরতা রাজনৈতিক মহলে