লখিমপুরকাণ্ডের প্রতিবাদের জের, বিজেপির জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটি থেকে বাদ মানেকা, বরুণ

লাখিমপুরকাণ্ডে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন মানেকা গান্ধী এবং বরুণ গান্ধী। এর জেরেই বিজেপির জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটি থেকে বাদ পড়লেন তাঁরা। এই ন্যাশনাল এগজিকিউটিভ কমিটিই ঠিক করে পার্টির সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কোন নীতিতে দল চলবে কোন ইস্যুতে কোন স্ট্যান্ড নেওয়া হবে সবটাই নির্ভর করে এই কমিটির ওপর।

আরও পড়ুন-উত্তরপ্রদেশ কি পাকিস্তানে? বিরোধীদের লাখিমপুর যাওয়া আটকানোয় বিজেপিকে নিশানা শিবসেনার

উল্লেখ্য, লাখিমপুরকাণ্ড নিয়ে কৃষকদের সমর্থন জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী। তিনি বলেছিলেন, লাখিমপুরে যে ঘটনা ঘটেছে তা সত্যিই নির্মম। পুলিশের উচিত ভিডিও দেখে গাড়ির চালককে অবিলম্বে গ্রেফতার করা। এ বিষয়ে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে তিনি চিঠিও লিখেছিলেন। সেই চিঠিতে মন্ত্রী পুত্রকে গ্রেফতারের কথাও জানিয়েছিলেন বরুণ। এর জেরেই মনে করা হচ্ছে বিজেপিতে গুরুত্ব কমল বরুণ গান্ধী এবং মানেকা গান্ধীর। কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ছাড়াও দলের বর্ষীয়ান নেতা লালকৃষ্ণ আদবানী এবং এমএম যোশীরাও রয়েছেন।

আরও পড়ুন-লখিমপুরকাণ্ডে উদ্বেগ প্রকাশ সুপ্রিম কোর্টের, স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ যোগী সরকারকে

দলের সমস্ত কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এই ন্যাশনাল এগজিকিউটিভ কমিটি বা জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটি। এতে ৫০ জন বিশেষ আমন্ত্রিত এবং ১৭৯ জন স্থায়ী আমন্ত্রিত, মুখ্যমন্ত্রী, বিজেপি শাসিত রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী, বিধানসভার নেতৃবৃন্দ, রাজ্য সভাপতি সহ অন্যান্যদের রাখা হয়।