মাথায় লাল “চুনরি”, মন্দিরে পুজো দিয়ে খড়দহ উপনির্বাচনে মনোয়ন পেশ করলেন শোভনদেব

দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর, দক্ষিণ কলকাতার রাসবিহারী ও ভবানীপুর ঘুরে এবার উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহে ভোটের লড়াইয়ের ময়দানে বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
পুজো মিটলেই আগামী ৩০ অক্টোবর রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। এবার খড়দহ উপনির্বাচনে শাসক দল তৃণমূলের প্রার্থী শোভনদেববাবু। আজ, বৃহস্পতিবার বারাকপুরের মহকুমা দফতরে মনোনয়নপত্র পেশ করলেন তিনি। এদিন সকাল সকাল শ্যামসুন্দর ও কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে মনোনয়পত্র জমা করতে যান তিনি। মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর তাঁর মাথায় ছিল লাল ‘চুনরি’।
প্রসঙ্গত, গত ২ মে বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশের আগেই করোনায় মৃত্যু হয়েছিল তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহার। ফল প্রকাশের পর জানা যায়, তিনি ২৮ হাজারেরও বেশি জয়ী হয়েছেন। সেখানেই এবার উপনির্বাচন।
অন্যদিকে, ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে একুশের বিধানসভা ভোটে সেই ২৮ হাজারের বেশি ব্যবধানে জিতেছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে দাঁড় করানোর জন্য বিধায়ক পদ থেকে তিনি ইস্তফা দেন।
এদিন মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে মন্দির থেকে বেরিয়ে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “খড়দহে প্রথম যেদিন এসেছিলাম সেদিন শ্যামসুন্দর মন্দিরে পুজো দিয়েছিলাম। এদিনও সেখানে পুজো দিয়ে মনোনয়ন জমা করতে যাচ্ছি। প্রার্থনা করলাম, আশীর্বাদ চাইলাম। যত বিধানসভা ভোটে এখনও পর্যন্ত দাঁড়িয়েছি কোথাও হারিনি। এবারও জেতার প্রার্থনা করলাম।”
উল্লেখ্য, এর আগে বারুইপুর থেকে অবিভক্ত কংগ্রেসের টিকিটে দু’বার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেস গঠিত হওয়ার পর রাসবিহারী কেন্দ্র থেকে যতবার লড়েছেন, ততবার জিতেছেন। দলের খুব খারাপ সময়ও তাঁর জয় আটকানো যায়নি। তৃণমূল কংগ্রেসের ইতিহাসে তিনি প্রথম ঘাসফুল প্রতীকে জেতা বিধায়ক।  আর শেষবার বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর থেকে লড়ে জেতেন তিনি। এবার খড়দহে ফের লড়াইয়ের ময়দানে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।

advt 19

Previous articleপেট্রোলের পর ডিজেলও ১০০ ছুঁইছুঁই, উৎসবের মরসুমে বেলাগাম জ্বালানির দাম
Next articleহায়দরাবাদ ম‍্যাচ নিয়ে কী বললেন আরসিবি অধিনায়ক বিরাট কোহলি?