উৎসবের মধ্যেই জঙ্গি অভিযান, উপত্যকা-সহ একাধিক রাজ্যে তল্লাশি এনআইএ-র

জঙ্গি অভিযানে এবার তৎপর হয়ে উঠল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)।মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ এবং সিআরপিএফ জওয়ানদের নিয়ে উপত্যকায় অভিযান চালায় তারা। পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ এবং দিল্লির আশপাশের ১৮টি জায়গায় অভিযান চালায় তারা।

আরও পড়ুন:বানচাল নাশকতার ছক, রাজধানীতে গ্রেফতার পাক জঙ্গি

মঙ্গলবার এনআইএ-এর অভিযানের নজরে ছিল লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদ, হিজবুল মুজাহিদিন, আল বদর-সহ একাধিক জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা। একটি বিবৃতিতে এ তথ্য দিয়েছে এনআইএ। কাশ্মীরের ১৬টি জায়গার পাশাপাশি দিল্লির আশপাশে এবং উত্তরপ্রদেশের নানা জায়গাতেও তল্লাশি চালানো হয়।

প্রসঙ্গত, গত রবিবার উৎসবের মরসুমে রাজধানীতে জঙ্গি হানার আশঙ্কা করে দিল্লি পুলিশের তরফে শুরু হয় বিশেষ তৎপরতা। এই নিয়ে পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন দিল্লি পুলিশের কমিশনার রাকেশ আস্থানা।দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় সাইবার কাফে, রাসায়নিকের দোকান, পার্কিং এরিয়া ছাড়াও যারা পুরনো গাড়ি কেনাবেচা করে, তাদের ওপর কড়া নজর রাখতে বলা হয়েছে। দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, পেট্রোল পাম্প অথবা তেলের ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বড়সড় নাশকতার ছক রয়েছে জঙ্গিদের। বিভিন্ন জায়গায় ভাড়াটে ও শ্রমিকদের ওপর নজর রাখতে বলা হয়েছে দিল্লি পুলিশকে।

অন্যদিকে,  উৎসবের আবহে রক্তাক্ত উপত্যকা। পুঞ্চে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হল এক সেনাকর্তা এবং চার জওয়ানের। অনন্তনাগ এবং বান্দিপোরায় সেনার গুলিতে দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। জঙ্গিদের জড়ো হওয়ার খবর পেয়ে, সোমবার সকালে সুরানকোটে অভিযান চালায় সেনা। তখনই তাদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। জবাব দেয় সেনাও। দু’পক্ষের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ সংঘর্ষ চলে। গুলির লড়াইয়ে সেনার জুনিয়র কমিশনড অফিসার এবং চার জওয়ানের মৃত্যু হয়।
advt 19

Previous articleবানচাল নাশকতার ছক, রাজধানীতে গ্রেফতার পাক জঙ্গি
Next articleসপ্তমীর সকালে মানুষের ঢল নেমেছে মন্ডপে