আজ মহানবমী, শারদোৎসবের আনন্দে মাতোয়ারা বঙ্গবাসী

আজ মহানবমী । শারদোৎসবের আনন্দে মাতোয়ারা বঙ্গজীবন। কিন্তু নবমী মানেই মন উদাস। শেষ হয়ে এলো পুজো । রাত পোহালেই দশমী। মায়ের ফিরে যাওয়ার পালা। আবারো এক বছরের অপেক্ষা। নবমী চলে এল মানেই এত আনন্দ, এত আয়োজন এত পরিকল্পনা সবই শেষের পথে।

মহানবমীর নির্ঘণ্ট

১৩ অক্টোবর , বুধবার রাত ৮ টা বেজে ৭ মিনিট থেকে শুরু মহানবমী । ১৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টা বেজে ৫২ মিনিটে শেষ হবে মহানবমী। পূর্বাহ্ণ মধ্যে দেবীর মহানবমীকল্পারম্ভ ও মহানবমীবিহিত পূজা প্রশস্তা এবং দেবীর নবরাত্রিক ব্রত সমাপন। আজ নবরাত্রিরও নবম দিন। এই দিনে দেবীর সিদ্ধিদাত্রী রূপের আরাধনা করা হয়। নবদুর্গার নবম তথা শেষ রূপ সিদ্ধিদাত্রী। সিদ্ধিদাত্রী দেবীর উপাসনায় সংসারে সুখ আসে, সমৃদ্ধি আসে, শান্তি আসে । দেবী সিদ্ধিদাত্রীর বাহন সিংহ। মায়ের চার ভুজ। ডান দিকের উপরের হাতে গদা, আর নিচের হাতে থাকে চক্র । বাঁ পাশে উপরের হাতে কমলপুষ্প ও নিচের হাতে থাকে শঙ্খ। এই সিংহবাহিনী দেবীর চার হাতে আশীর্বাদী মুদ্রা। এই কারণেই তিনি মানুষের জীবনে নিয়ে আসেন সুখ ও সমৃদ্ধি। দেবীর এই রূপ সিদ্ধি দান করেন। এই কারণে হিন্দুদের বিশ্বাস, নবরাত্রির নবম দিনে এই দেবীর সঠিকভাবে পুজো করলে সব প্রকারের সিদ্ধি প্রাপ্তি হয়। পুরাণে কথিত আছে, স্ মহাদেব দেবী পার্বতীকে সিদ্ধিদাত্রী রূপে পুজো করেছিলেন। এবং এই কারণেই নাকি মহাদেব সকল সিদ্ধি লাভ করেছিলেন। সিদ্ধিদাত্রীর আশীর্বাদেই সর্ব সিদ্ধি লাভ করেন মহাদেব। অন্যদিকে মার্কণ্ডেয় পুরাণে রয়েছে সিদ্ধিদাত্রী অষ্টভুজা। একই সঙ্গে ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণের শ্রীকৃষ্ণজন্ম খণ্ডেও রয়েছে সিদ্ধিদাত্রী অষ্টাদশভুজা। তবে সিদ্ধিদাত্রীকে চতুর্ভুজা রূপেও দেখা যায়। সেখানে তিনি শিবের আরাধ্য।

advt 19

 

 

Previous articleব্রেকফাস্ট স্পোর্টস
Next articleকেন্দ্রের ছাড়পত্র পেল রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালা বিমান সংস্থা ‘আকাসা এয়ার’