সোনিয়া গান্ধী না রাহুল গান্ধী ? কার শক্ত হাতে ‘হাত’ এর দায়িত্ব ন্যস্ত হবে ? এই নিয়ে জল্পনা দলের ভিতরে এবং বাইরে বহুদিন ধরেই। তবে সবকিছু ঠিক থাকলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে ২০২২শে রাহুলই সভাপতি! তার আগে ‘কার্যনির্বাহী’ হয়ে দল সামলাতেও সম্ভবত তৈরি রাহুল গান্ধী।

পাখির চোখ উত্তরপ্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন । তার আগে দলের সাংগঠনিক ক্ষমতা মজবুত এবং আরো জোরদার করে তুলতে হবে। সেই লক্ষ্যেই গতকাল অর্থাৎ শনিবার তড়িঘড়ি বৈঠকে বসে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি। বৈঠকের উদ্দ্যেশ্য ছিল অবশ্যই দলের পরবর্তী স্থায়ী সভাপতি নির্বাচন। কিন্তু কে ধরবে এই কঠিন সময়ে দলের রাশ? কে সামলাবে কংগ্রেসের মতো একটি শতাব্দীপ্রাচীন জাতীয় দলের দায়িত্ব ? এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই জল্পনা চলছিল । এদিন বৈঠকের শুরুতেই সোনিয়া গান্ধী স্বেচ্ছায় সভাপতির দায়িত্ব সামলাতে চাইলেও রাহুল গান্ধীকে ‘মুখ ‘করতে চাইছেন কংগ্রেসের একাধিক শীর্ষ নেতা। আর তাই গতকালের বৈঠকে গান্ধী পরিবারের আস্থাভাজন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা অশোক গেহলট সভাপতি হিসেবে রাহুল গান্ধীর নাম প্রস্তাব করেন । গেহলটের এই প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন এ কে এ্যান্টনি সহ কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির সকল সদস্য। যদিও রাহুল গান্ধী এখনো সরাসরি সম্মতি দেননি । আবার নাকচ করেও দেননি। শুধু বলেছেন ‘সবাই চাইলে বিবেচনা করে দেখব’।

কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি সূত্রে খবর রাহুল গান্ধীকে রাজি করাতে উদ্যোগী সকলেই। পাঞ্জাবের নতুন মুখ্যমন্ত্রী রঞ্জিত সিং রাহুলকে উদ্দেশ্য করে এদিন বলেন, ‘আমাদের দলের নিয়ম হল পাঁচজন কোনও সিদ্ধান্ত নিলে তা মেনে নিতে হয় । আর এখানে তো পুরো কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি চাইছে আপনি ফের সভাপতির দায়িত্ব নিন। তাহলে আপত্তি কোথায় ? ‘ কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়াতেও এদিন টুইটারে #ইয়ে দিল মাঙ্গে রাহুল ট্রেন্ডিং হয়ে যায়। যদিও বিক্ষুব্ধ জি ২৩ গোষ্ঠীর সদস্যরা প্রথম থেকেই রাহুলের বিরুদ্ধে। তাদের অভিযোগ ছিল যে রাহুল সরাসরি দায়িত্ব নিতে চাননা। কিন্তু সোনিয়া গান্ধী সভানেত্রী হলেও আসলে রাহুলই সব সিদ্ধান্ত নেন । তবে গান্ধী পরিবারের আস্থাভাজন কংগ্রেস নেত্রী অম্বিকা সোনি এদিন বলেন বলেন জি ২৪ এর কথা গ্রহণযোগ্য নয় । এদিনের বৈঠকে তাদের সব সদস্যই উপস্থিত থাকলেও কেউ এই নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি । অম্বিকা সোনি বলেন , দেশ এখন কঠিন সমস্যায়। এই অবস্থায় কংগ্রেসকে এককাট্টা হতেই হবে। দলকে সংঘবদ্ধ করতেই হবে। সর্বশক্তি দিয়ে গোটা কংগ্রেস দলের পুনরুত্থান করতেই হবে। আর এই লক্ষ্যেই সকলে এক সুরে রাহুলকে সভাপতি পদে চেয়েছেন । এখন রাহুল গান্ধী সকলের প্রস্তাবে সম্মতি দেন কী না সেদিকেই নজর রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
