কোচবিহারের আলতাপ মিঞার পরিবার এখনো মদনমোহনের রাসচক্রের ঐতিহ্য বহন করে চলেছেন

বংশ পরম্পরায় দিয়ে চলেছেন সম্প্রীতির বার্তা৷ লক্ষ্মী পূর্নিমায় শুরু হয় রাসচক্র বানানোর কাজ। চলে রাসপূর্ণিমা পর্যন্ত। এক মুসলিম পরিবারের হাতে তৈরি হয়ে আসছে কোচবিহারের মহারাজাদের কুলদেবতা মদনমোহন ঠাকুরের এই রাসচক্র৷ এই রাসচক্র শুরু হয় রাসযাত্রায়। তিন প্রজন্ম ধরে রাজআমলের এই ঐতিহ্য বয়ে নিয়ে চলেছে কোচবিহারের গুড়িয়াহাটি গ্রামের আলতাপ মিঞার পরিবার।

 

কোচবিহারের গুড়িয়াহাটি গ্রামের তোর্সা নদীর বাঁধের পাড়ে থাকেন আলতাপ মিঞা৷ দেবত্র ট্রাস্ট বোর্ডের অধীনে আনন্দময়ী ধর্মশালাতে অস্থায়ী চাকুরি করেন৷ তবে লক্ষ্মীপূজো থেকে রাসপূর্নিমা পর্যন্ত তার একমাস ছুটি। কারন এই এক মাসে তিনি তৈরি করেন রাসচক্র৷ কোচবিহারের মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণের আমলে ১৮৯০ সালে মদনমোহন ঠাকুরের রাসযাত্রা বড় আকারে শুরু হয়। তবে কথিত আছে রাজবাড়ি যখন ভেটাগুড়িতে ছিল তখন থেকেই রাস উৎসব হত। জানা গেছে কোচবিহারের মহারাজারা সব ধর্মের মানুষকে ভালোবাসতেন। তাই সম্প্রীতির বার্তা দিতে মুসলিম পরিবারকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন রাসচক্র বানানোর জন্য। রাজ আমলে এই মুসলিম পরিবারের পানমামুদ মিঞা প্রথম রাসচক্র বানান। যা দেখতে অনেকটা তাজিয়ার মত। তাতে মুসলিম ঘরানার নক্সা তোলা হয় কাগজ কেটে। তাতে লাগানো হয় হিন্দুদের দেবদেবীর ছবি। সম্প্রীতির বার্তা দিতে রাজআমল থেকে রাসউতসবের রাসচক্র তৈরি করে মুসলিম পরিবার। এরপর আজিজ মিঞা রাসচক্র বানাতেন। এখন প্রায় তিরিশ বছর থেকে রাসচক্র বানাচ্ছেন তার ছেলে আলতাপ মিঞা। আলতাপ মিঞা বলে ন এই রাসচক্র বানানো বিরাট অনুভূতি তার কাছে। তার অবর্তমানে তার ছেলে বানাবে এই রাসচক্র। রাজআমলের এই ধারা এগিয়ে নিয়ে যাবে তাদের পরিবার। বার্তা দেবেন সম্প্রীতির।

advt 19

 

 

Previous articleদেশে ২০০-র বেশি নতুন বিমানবন্দর, হেলিপোর্টের নেটওয়ার্ক তৈরির বার্তা মোদির
Next articleআগ্রায় মৃতের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতে বাধা, প্রিয়াঙ্কাকে হেফাজতে নিল যোগীর পুলিশ