ত্রিপুরার জন্য তৃণমূল: বিপ্লব রাজ্যে নয়া কর্মসূচি ঘোষণা ঘাসফুল শিবিরের

বঙ্গে বিজেপিকে(BJP) ধরাশায়ী করার পর তৃণমূলের লক্ষ্য এখন ত্রিপুরা(Tripura)। আর সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে ঘাসফুল শিবির। ত্রিপুরা বাসীকে আপন করে নিতে প্রতিবেশী রাজ্যে এবার নয়া কর্মসূচি ঘোষণা করল ত্রিপুরা তৃণমূল(TMC)। আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে নতুন এই কর্মসূচি ‘ত্রিপুরার জন্য তৃণমূল’। শুক্রবার ত্রিপুরায় সাংবাদিক বৈঠক করে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কর্মসূচির সূচনা করেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব(Sushmita Dev) ও ত্রিপুরা তৃণমূলের জনপ্রিয় নেতা সুবল ভৌমিক(Subal Bhaumik)।

ত্রিপুরা রাজ্যে সদ্য তৈরি হওয়া তৃণমূলের স্টিয়ারিং কমিটির প্রথম বৈঠকের পর এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে সুস্মিতা দেব বলেন, “আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ঘোষণা করে দিয়েছেন ত্রিপুরাতে এখন থেকে সমস্ত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করবো আমরা। সেই লক্ষ্যে মানুষের পাশে পৌঁছতে এক নতুন জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু হতে চলেছে আগামী কাল থেকে যার নাম “ত্রিপুরার জন্য তৃণমূল”। এই কর্মসূচিতে ত্রিপুরার প্রতিটি ব্লগ এবং পুরএলাকায় জনসংযোগ করবেন তৃণমূল নেতৃত্বরা। পুজোর আগে পর্যন্ত চলবে এই জনসংযোগ কর্মসূচি। কোনরকম আইন ভেঙেই এই কর্মসূচি চালু রাখা হবে। নতুন এই কর্মসূচিতে আমরা মানুষের পাশে গিয়ে তাদেরকে জানাবো পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কিভাবে সরকার মানুষের জন্য কাজ করে চলেছে এবং ত্রিপুরাতে সরকার গঠন হলে ঠিক কোন পদ্ধতিতে কাজ চলবে। পাশাপাশি বিজেপি সরকারের ভুল ত্রুটি গুলি মানুষের কাছে তুলে ধরব আমরা।”

পাশাপাশি এদিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে রাজ্য বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে তৃণমূল নেতা সুবল ভূমিক বলেন, “ত্রিপুরার সাম্প্রতিক অবস্থা সম্পর্কে সকলেই অবগত শুধু বিরোধী দল নয় সাধারণ মানুষ এমনকি সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ চালানো হচ্ছে। রীতিমতো জঙ্গলরাজ শুরু হয়েছে ত্রিপুরাতে। এই পরিস্থিতিতে ত্রিপুরায় তৃণমূলকে আটকাতে হামলা ও মামলা পন্থা নিয়েছে বিজেপি। লাগাতার আক্রমণ চালানো হচ্ছে আমাদের ওপর। আসলে রাজ্যে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিগুলো থেকে নজর ঘোরানোর জন্যই এইসব করে চলেছে। যাতে মানুষকে নির্বাচনের আগে জ্বলন্ত সমস্যাগুলি ভুলিয়ে দেওয়া যায়।” পাশাপাশি তিনি আরো বলেন ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার আসার পর থেকে সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আর নেই। বেছে বেছে আমাদের কর্মী সমর্থকদের মারধর করা হচ্ছে বাড়িঘর ভাঙচুর করা হচ্ছে। অথচ প্রশাসন নীরব। তবে গণতন্ত্রের জন্য আমাদের লড়াই চলছে এবং চলবে। কোনরকম হামলা দিয়ে আমাদের আটকানো যাবে না।

advt 19

 

Previous articleঅরুদ্বীপ জুটির প্রথম মিউজিক ভিডিওর টিজার দেখে বেজায় খুশি ভক্তরা
Next articleসুখবর! ৩ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির ঘোষণা করল কেন্দ্র