গড়িয়াহাট জোড়া খুনে গ্রেফতার আরও ২, এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত ভিকি

গড়িয়াহাটের কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকি ও তাঁর গাড়ির চালক রবীন মণ্ডল খুনের তদন্তে নেমে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। মূল অভিযুক্ত মিঠু হালদারকে জেরা করে বেশ কয়েকজন যুবকের নাম জানতে পেরেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বাপি দাস ও জাহির গাজি নামে তাঁদের মধ্যে দু’জনকে পাথরপ্রতিমা থেকে আটক করা হয়। পরে কলকাতায় এনে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা থেকে বাপি মণ্ডল ও জাহির গাজি নামের দু’জনকে আটক করেন তদন্তকারীরা। এরপর কলকাতায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর বাপি ও জহিরকে গ্রেফতার করেন গোয়েন্দারা। পুলিশের দাবি, ধৃতরা সরাসরি খুনের সঙ্গে জড়িত।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত দু’জনেই ডায়মন্ড হারবারের বাসিন্দা। ধরপাকড়ের ভয়ে তারা লুকিয়ে ছিল পাথরপ্রতিমায় পরিচিতের বাড়ি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারা তাদের গ্রেফতার করে। মিঠুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে, মোবাইলের লোকেশন ট্র্যাক করে তাদের কাছ পর্যন্ত পৌঁছনো সম্ভব হয়েছে গোয়েন্দাদের। ধৃতরা মিঠু হালদারের ছেলে তথা খুনের ঘটনার মূলচক্রী ভিকির সঙ্গী বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

অন্যদিকে, কাঁকুলিয়া রোডে জোড়া খুনে ধৃত মিঠু হালদারকে ১৪ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। বৃহস্পতিবার তাকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়েছিল। জোড়া খুনের তদন্তে মিঠুকে হেফাজতে নিয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন বলে বিচারকের কাছে আবেদন করে পুলিশ। সেই আর্জিতেই সাড়া আদালতের। ৩ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত ভিকি হালদার।

আরও পড়ুন:উত্তরাখণ্ডে তুষার ধসে মৃত্যু বাংলার ৫ ট্রেকারের, মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধির আশঙ্কা

advt 19

 

 

Previous articleউত্তরাখণ্ডে তুষার ধসে মৃত্যু বাংলার ৫ ট্রেকারের, মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধির আশঙ্কা
Next articleকোনওক্রমে দুর্ভোগ কাটিয়ে পাহাড় থেকে কলকাতায় ফিরলেন পায়েল-দ্বৈপায়ন