উত্তরসূরি বাছাইয়ের আগেই দু-টুকরো অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদ

ভেঙে গেল ভারতের সাধুসন্ন্যাসীদের শীর্ষ সংগঠন অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদ।সংগঠন ভেঙে দুভাগ হয়ে গিয়েছে।১৩টি আখড়ার মধ্যে সাতটি আখড়া আলাদাভাবে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং অন্যান্য পদাধিকারীদের নিজেরাই নির্বাচিত করেছে।নির্মোহী, নির্বাণী, দিগম্বর, মহানির্বাণী, অটল, বড়া উদাসীন এবং নির্মল– এই সাত আখড়া নিয়ে একটি অংশ তৈরি হয়েছে।আখড়া–জুনা, নিরঞ্জনী, আবাহন, আনন্দ, অগ্নি এবং নয়া উদাসীন এই ছটি নিয়ে আর একটি অংশ তৈরি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার হরিদ্বারে অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের সহ সভাপতি দেবেন্দ্র সিং শাস্ত্রীর পৌরোহিত্যে একটি বৈঠক হয়।মহানির্বাণী আখড়ার মোহন্ত রবীন্দ্র পুরীর নাম সভাপতি ও নির্মোহী আখড়ার মোহন্ত রাজেন্দ্র দাসের নাম সাধারণ সম্পাদক হিসাবে ঘোষণা করা হয়।

আরও পড়ুন- ত্রিপুরায় প্রশাসনের মদতেই তৃণমূলের উপর হামলা! ডিজিকে ডেপুটেশন সুস্মিতা সহ নেতৃত্বের
কিন্তু কেন এইভাবে দুটি অংশে ভাগ হয়ে গেল সংগঠন? দিগম্বর আখড়ার বাবা হঠযোগী অভিযোগ করেন, অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদে বিভিন্ন পদ নির্বাচনে তাঁরা বরাবরই অবহেলিত। তাই নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী পদাধিকারী বেছে নিয়েছেন তাঁরা। তিনি জানিয়েছেন, সাত আখড়ার প্রধানরাও চেয়েছিলেন যে, সংগঠনের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মোহন্ত হরি গিরিকে বদল করা হোক।

যদিও দুদিন পর ২৫ অক্টোবর প্রয়াগরাজে অখিল ভারতীয় আখড়া পরিষদের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। গত মাসে প্রয়াত হন পরিষদের সভাপতি নরেন্দ্র গিরি। তার উত্তরসূরি বেছে নেওয়ার জন্য বৈঠক হওয়ার কথা ছিল।এইভাবে পদাধিকারীর নাম ঘোষণা প্রসঙ্গে মোহন্ত হরি গিরি বলেছেন, নাম ঘোষণা কোনওমতেই গ্রহণযোগ্য নয়।এটি সংগঠনের সংবিধান বিরোধী।প্রসঙ্গত, আখড়া পরিষদের প্রথা হল, কোনও সভাপতির মৃত্যু হলে সেই আখড়া থেকেই কাউকে পরবর্তী সভাপতি বেছে নেওয়া হয়। প্রয়াত নরেন্দ্র গিরি ছিলেন নিরঞ্জনী আখড়ার প্রধান।
যদিও চলতি বছরে মহাকুম্ভের সময় তিনটি আখড়া– নির্মোহী, নির্বাণী এবং দিগম্বর আখড়া পরিষদ থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। তিনটি আখড়াই বৈরাগী বৈষ্ণব ঐতিহ্য মেনে চলে।

advt 19

 

Previous articleদ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রকৃত কারণ জানতে বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন ইবির আধিকারিকদের
Next articleপ্রাক্তন সেনাদের চিকিৎসায় বরাদ্দবৃদ্ধির দাবি সুদীপের