পাত্র পিতা হতে পারবে? বীর্য পরীক্ষা করতে চিকিৎসকের দ্বারস্থ পাত্রীর বাবা

এ যেন সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানায় । এতদিন আমরা দেখেছি, অনেকেই বিয়ের আগে পাত্র-পাত্রীর কুষ্ঠি মিলিয়ে দেখতেন। আদৌ দাম্পত্য সুখের হবে কিনা। কিন্তু তা বলে, হবু জামাই বাবা হতে পারবে কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য চিকিৎসকের দ্বারস্থ হওয়া সত্যি বেনজির!যদিও কলকাতায় এমনই এক ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি এক চিকিৎসকের।

পলাশ দাস (নাম পরিবর্তিত) নামে কলকাতার ওই চিকিৎসকের দাবি, এক পিতা তাঁর মেয়ের সঙ্গে বিয়েতে রাজি হওয়ার আগে হবু জামাইয়ের বীর্য পরীক্ষার রিপোর্ট দেখতে চেয়েছেন । এমনই অদ্ভুত আবদার নিয়ে ওই চিকিৎসকের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সেই ব্যক্তি।ভাইরাল ওই পোস্টে পলাশের আরও দাবি, প্রথমে হতবাক হয়ে গেলেও শনিবার ওই পাত্রের বীর্য পরীক্ষা করানো হয়েছে।স্বাভাবিকভাবেই ওই পাত্র-পাত্রীর বা তাঁদের পরিবারের নাম-পরিচয় গোপন রেখেছেন তিনি।

তবে ফেসবুকে নিজের অভিজ্ঞতার কথা লিখতে ছাড়েননি চিকিৎসক পলাশ দাস। তিনি কিন্তু স্পষ্ট লিখেছেন, তার কেরিয়ারে এমন ঘটনা এই প্রথম।

তিনি লিখেছেন, এত দিন জানতাম, দেখেশুনে বিয়ে হলে ঠিকুজি-কোষ্ঠি মেলানো হয়। শুনেছি, কখনও মাধ্যমিকের অ্যাডমিট কার্ড দেখে মেয়ের বয়স মেলানো হয়। কিংবা দেখতে চাওয়া হয় ছেলের স্যালারি স্লিপ। (তবে) মেয়ের বাবা ছেলের বীর্য পরীক্ষার রিপোর্ট দেখতে চেয়েছেন এমনও অভিজ্ঞতা হল এ বার। সেটা নয় সহজে পাওয়া যাবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার সরস মন্তব্য, এ বার যদি পাত্রীর বাবা জানতে চান হবু জামাই সহবাসে সক্ষম কি না, তবে কেলো করেছে! মুহুর্তে বিষয়টি ভাইরাল। এ নিয়ে ফেসবুকে সরস মন্তব্য করতে ছাড়েননি অনেকেই। পাত্রীরও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া প্রয়োজন বলে দাবি করেছেন অনেকে। বিষয়টিকে বেশ সিরিয়াসলি নিয়েছেন প্রচূর ফেসবুক ব্যবহারকারী। তাঁদের মতে, মন্দ তো নয়! এতে তো লিঙ্গসাম্যই বজায় থাকল।’

স্বয়ং চিকিৎসক কী মনে করেন? ফেসবুকে তাঁর সাফ জবাব, ‘এ ভাবে দরদাম করে সম্পর্ক তৈরি হয় না!’

advt 19

 

Previous articleব্রেকফাস্ট নিউজ
Next articleব্রেকফাস্ট স্পোর্টস