শেষপর্যন্ত পাকিস্তান সফর থেকে পিছিয়ে এলেন শেখ হাসিনা

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাকিস্তান সফর শেষ পর্যন্ত দিনের আলো দেখবে না বলেই মনে করা হচ্ছে । পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠকের জন্য হাসিনা পাকিস্তান যাচ্ছেন বলে যা প্রচার করা হয়েছিল তা আদতে বাতিল হওয়ার মুখে।

আরও পড়ুন- স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ফেরানো যাবে না, বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে কড়া নির্দেশ দিল কমিশন

যদিও গত জুলাই মাস থেকে পাকিস্তান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ইসলামাবাদ সফরের আমন্ত্রণ জানাচ্ছে, যদিও তিনি ইমরানের আবেদনে সাড়া দেননি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এবারও হাসিনা পাকিস্তান যাবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে।
আসলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানে গেলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক অবনতি হতে পারে। অথচ বরাবরই বাংলাদেশ ভারতকে কাছের বন্ধু হিসেবে মনে করেছে। হাসিনা সরকারের কাছে পাকিস্তানের চেয়ে অনেক বেশি বন্ধু ভারত। সময়ে অসময়ে ভারত যেভাবে বাংলাদেশের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, তাতে চিড় ধরুক, এমন কোনও হঠকারী সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে না বাংলাদেশ সরকার।
জানা গিয়েছে, পাকিস্তান দিবস উপলক্ষে সম্প্রতি পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে চিঠি লিখে শুভেচ্ছা জানিয়ে ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যে অভিনন্দন পত্রে ইসলামাবাদ এবং অন্যান্য প্রতিবেশীদের সাথে বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক সম্পর্কের প্রতিশ্রুতি দেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। এরপর পাক সরকারের তরফে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ইসলামাবাদ সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়। জানা গিয়েছে, পাকিস্তান দিবস উপলক্ষে সম্প্রতি পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে চিঠি লিখে শুভেচ্ছা জানিয়ে ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যে অভিনন্দন পত্রে ইসলামাবাদ এবং অন্যান্য প্রতিবেশীদের সাথে বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক সম্পর্কের প্রতিশ্রুতি দেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। এরপর পাক সরকারের তরফে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ইসলামাবাদ সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে কূটনৈতিক মহলের ধারণা হয়েছিল ইমরান খানের ডাকে সাড়া দিয়ে এবার হয়তো হাসিনা পাকিস্তানে যাবেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে আশঙ্কা ছিল , হাসিনা সরকারের এই সিদ্ধান্তে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক কিছুটা বিঘ্নিত হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মত, এই কারণেই পাক সফরে যাওয়ার আগে রীতিমতো চিন্তা ভাবনা করে পা ফেলতে চাইছে বাংলাদেশ সরকার। এই বিষয়ে সহমত পোষণ করেছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ মহলও। কারণ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভারত-পাক সম্পর্ক একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে।

যদিও বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বরাবরই উন্নত। এই পরিস্থিতিতে পাক বাংলাদেশের কাছাকাছি আসাটা কূটনৈতিক দিক থেকে ভারতের জন্য অস্বস্তিকর। এরই মাঝে সম্প্রতি বাংলাদেশের মাটিতে যেভাবে ভয়াবহ সংখ্যালঘু নির্যাতন চলছে সেই অবস্থায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পাকিস্তান সফর হলে স্বাভাবিকভাবেই একাধিক প্রশ্ন উঠবে।

জানা গিয়েছে যে ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তাঁর দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু করার পর পাকিস্তান-বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তবে গত বছর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হতে শুরু করেছে। এছাড়া প্রায় অনেকদিন যাবৎ বাংলাদেশের উপর চাপ সৃষ্টি করছিল চিন, যা পাকিস্তান ও বাংলাদেশকে আরও কাছাকাছি এনেছে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্ত ভারত-পাকিস্তান (India-Pakistan) সম্পর্কের ধারা সকলেরই জানা।

 

Previous articleন্যাশনাল পাওয়ার ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে ডিপ্লোমা কোর্স, জেনে নিন আবেদনের পদ্ধতি
Next articleপথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু বিজেপি কাউন্সিলর তিস্তা বিশ্বাসের, রাজনৈতিক মহলে শোকের ছায়া