ত্রিপুরায় সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনার দায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের, দাবি মানিকের

সম্প্রতি একদল দুষ্কৃতী ত্রিপুরার পানিসাগর এলাকার মসজিদে হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। একইসঙ্গে সংখ্যালঘু এলাকায় একাধিক দোকান ও বাড়িতেও তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার পর বিপ্লব দেব সরকারের কোনও হেলদোল নেই। ত্রিপুরা পুলিশের কাছে এই ঘটনা নিয়ে অভিযোগ জমা পড়লেও এখনও পর্যন্ত একজন অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়নি।

এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা মানিক সরকার তীব্র নিন্দা করেছেন। এই ঘটনার জন্য মানিকবাবু সরাসরি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উপর দোষ চাপিয়েছেন। একই সঙ্গে।পানিসাগরে ঘটনায় যাতে রাজ্যের সম্প্রীতি ক্ষুণ্ন না হয়, তা নিয়ে প্রশাসনকে সতর্ক করেছেন সিপিএম নেতা।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মানিক সরকার বলেন, ” সম্প্রতি দুর্গাপূজার সময় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কিছু উষ্কানীমূলক মূলক নিন্দনীয় ঘটনা ঘটে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কিছু দাবিকে সামনে রেখে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। আর বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এই প্রতিবাদ কর্মসূচির নামে উস্কানিমূলক বক্তব্যের মধ্য দিয়ে প্ররোচনা জুগিয়ে কিছু কিছু জায়গায় সম্প্রীতি ক্ষুন্ন করা হয়েছে। উত্তর জেলার পানিসাগরের চামটিলা এলাকার নিন্দনীয় ঘটনা তার প্রমান।”

এরপর মানিক সরকার বলেন, “ত্রিপুরায় বিভিন্ন ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি ও মৈত্রীর বন্ধন সুপ্রাচীন। এই ভাবধারা যাতে নষ্ট না হয় তার জন্য দলমত নির্বিশেষে সম্প্রীতি রক্ষায় সুদৃঢ় ভূমিকা নিতে হবে।”

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এ বিষয়ে প্রশাসন ও পুলিশকে সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার আর্জি জানান। জেলা পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী বলেন, “আমরা এলাকায় নিরাপত্তাবাহিনী মোতায়েন করেছি। তবে অপ্রীতিকর আর কোনও ঘটনার খবর নেই। পানিসাগর, ধর্মনগরে মহকুমায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এদিকে উত্তর ত্রিপুরার বিভিন্ন সংবেদনশীল এলাকায় ইতিমধ্যেই শান্তি বৈঠক করছে স্থানীয় প্রশাসন, এমনটাই জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন- ১ নভেম্বর থেকে রাজ্যে শুরু ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ, নির্ভুল তালিকা প্রকাশের দাবি তৃণমূলের

 

Previous articleনিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি শুরু বিরাট বাহিনীর
Next articleহরিয়ানায় গাড়িচাপা দিয়ে ৩ কৃষক খুন: দোষী গ্রেফতার না হলে দেহ ময়নাতদন্তে অনড় কৃষকরা