নাম বদলে গেল ফেসবুকের। ফেসবুকের নতুন নামকরণ হল ‘মেটা’। আর এর সঙ্গে সঙ্গে নতুন রূপে আত্মপ্রকাশ ঘটল ফেসবুকের। জুকারবার্গ বলেন, “সামাজিক সমস্যা নিয়ে লড়াইয়ের মধ্যে থেকে আমরা অনেক কিছু শিখেছি। একটা সীমার মধ্যে বদ্ধ ছিলাম। এ বার সেই সীমা ছাড়িয়ে নতুন পর্যায়ের সফর শুরু হয়েছে।”
ফেসবুকের নাম বদল হতে পারে, এ নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই একটা আলোচনা চলছিল। তবে নেটমাধ্যমে আটকে না থেকে তার পাশাপাশি নানা পরিসরে ফেসবুকের বিস্তারের ভাবনাচিন্তা চালাচ্ছিলেন জুকারবার্গ। ভার্চুয়াল রিয়ালিটি বা অধিবাস্তব নিয়ে কাজ করার কথা বলেছিলেন তিনি। তখন কিছুটা ইঙ্গিত পাওয়া গেলেও ফেসবুকের নাম যে ‘মেটাভার্স’ই হতে চলেছে সেটা কেউ আঁচ করতে পারেননি। অবশেষে সেই নামই রাখা হল ফেসবুকের।
‘মেটাভার্স’। যা ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এবং আগের ফেসবুকের তুলনায় অনেক বেশি চিত্তাকর্ষক। আমেরিকার বহুজাতিক প্রযুক্তি সংস্থা ফেসবুক ইনকর্পোরেশন নাম বদলালেও তার ফেসবুক অ্যাপটির নাম বদলায়নি। ইনস্টাগ্রাম, ওকুলাস, হোয়াটসঅ্যাপের মতো ফেসবুক অ্যাপটিও থাকছে বলে জানিয়েছেন জুকারবার্গ।
১৭ বছর আগের হার্ভার্ড কলেজে নিজের নাম পেয়েছিল ফেসবুক। কলেজের ছাত্রদের দেওয়া ফেসবুক ডিরেক্টরিজ থেকেই হয় নামকরণ। সেই নাম এ বার বদলাল।
সংস্থার নতুন নাম এবং প্রথম দিন থেকে আজ পর্যন্ত সংস্থার দীর্ঘ পথ চলার বিষয়ে ফেসবুকে দীর্ঘ পোস্ট করেছেন CEO মার্ক জুকারবার্গ (Mark Zuckerberg) নিজেই।
বৃহস্পতিবার কানেক্ট ২০২১ নামে এক ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত হন ফেসবুকের (Facebook) চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (CEO) তথা প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ (Mark Zuckerberg)। সেখানেই সংস্থার নতুন নাম ঘোষণা করেন তিনি।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, মেটাভার্সই ইন্টারনেটের ভবিষ্যৎ। মেটাভার্সের যুগে ইন্টারনেটের ভার্চুয়াল জগত ক্রমেই বাস্তব হয়ে উঠবে। বর্তমানে বিশ্বে ২.৯ বিলিয়ন মাসিক গ্রাহক রয়েছে ফেসবুকের।
