Saturday, August 23, 2025

শেষ মুহূর্তে সফর বানচাল করতে পুলিশি চক্রান্তের মধ্যেও আগরতলায় অসমাপ্ত মঞ্চে সভা অভিষেকের

Date:

Share post:

তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Bandyopadhyay) আগরতলার রবীন্দ্র ভবনের সামনে সভা আটকাতে সব রকম চক্রান্ত করছে ত্রিপুরার বিপ্লব দেব (Biplab Dev) সরকার। কিন্তু সব ষড়যন্ত্রের জবাব দিতে রবিবার পূর্বনির্ধারিত জায়গাতেই অর্ধসমাপ্ত মঞ্চে সভা করবেন অভিষেক। শুধু সময়ের বদল করা হয়েছে; দুপুর দুটোর বদলে সভা হবে বেলা বারোটায়।

আগরতলায় তৃণমূলের (Tmc) স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক সুবল ভৌমিক (Subal Bhowmik) জানান, কোনোভাবেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা আটকাতে পারবে না বিপ্লব দেব পরিচালিত ত্রিপুরা (Tripura) পুলিশ। তিনি বলেন, যে কোনও দমন-পীড়নের জবাব দেবে তৃণমূল কংগ্রেস। কোনভাবেই তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের আটকানো যাবে না। নির্ধারিত জায়গাতেই সভা করবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

শনিবার, ত্রিপুরার পুলিশের তরফ থেকে তৃণমূল নেতৃত্বকে জানানো হয়, তাদের ইন্টালিজেন্স রিপোর্ট অনুযায়ী, রবিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় ১০ হাজার মানুষের জমায়েত হবে। সেই কারণেই তারা অনুমতি দেওয়া সত্বেও তৃণমূল কংগ্রেসকে রবীন্দ্র ভবনের সামনে সভা করতে বাধা দিচ্ছে। সুবল ভৌমিক প্রশ্ন তোলেন, যে বিজেপির ত্রিপুরায় দাবি করে, যে সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও অস্তিত্বই নেই, সেই বিজেপি পুলিশের গোয়েন্দারাই রিপোর্ট দিচ্ছেন, যে তৃণমূল সাংসদের সভায় ১০ হাজারের বেশি মানুষ জমায়েত হবে। অর্থাৎ এ থেকে স্পষ্ট যে, ত্রিপুরায় শক্তি বৃদ্ধি করছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর যা দেখে থরহরি কম্পমান বিজেপির (Bjp)। যে কারণে শাসনতন্ত্রকে কাজে লাগিয়ে যেনতেন প্রকারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা বানচাল করার চেষ্টা করছে বিপ্লব দেবের পুলিশ।

অনুমতি থাকা সত্বেও তৃণমূল কংগ্রেসে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে আগরতলার রবীন্দ্রভবনের সামনে সভা করতে দিতে রাজি নয় ত্রিপুরা পুলিশ। তৃণমূলও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা সরিয়ে আস্তাবল মাঠে নিয়ে যেতে রাজি নয়। এই জেরে আগরতলার রবীন্দ্র ভবন চত্বরে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। রাস্তাতেই ধরনায় বসে পড়েন কুণাল ঘোষ, সুবল ভৌমিক, সুস্মিতা দেব, আশিসলাল সিং, জয়া দত্ত, সুদীপ রাহারা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তায় আসা পুলিশ আধিকারিকরা কথা বলেন ত্রিপুরা পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে। পুলিশ অনড়। তারা বলছে, সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। সভা সরাতে হবে। কুণাল ঘোষ, সুস্মিতা দেব সুবল ভৌমিকরা বলেন, সভা এখানেই হবে। “স্বেচ্ছ্বাচারিতা অনেক হয়েছে। এবার বন্ধ হওয়া দরকার। রাস্তায় অবস্থানে বসছি। প্রয়োজনে সারা রাত বসে থাকব। কিন্তু সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হবে না।” এলাকায় র‍্যাফ, কমব্যাট ফোর্স মোতায়েন করা হয়। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ধরনায় বসে আছে তৃণমূল।

আরও পড়ুন- ফের একবার WHO প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হলেন টেড্রোস ঘেব্রিয়েসুস

 

spot_img

Related articles

অসংগঠিত শ্রমিক-ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে বাংলা: সাহায্য পেলেন ৭২০ শ্রমিক

একের পর এক নতুন প্রকল্প, অসংগঠিত শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার আলোচনা, তাঁদের পরিবারের প্রতি নজর রাখার ব্যাপারে তৎপর...

প্রাপ্য চায় বাংলা, উপহার না: মোদিকে জবাব তৃণমূলের

বাংলার মানুষ উপহার চায় না, প্রাপ্য চায়। উপহার দিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না। বাংলায় বরাদ্দ নিয়ে শুক্রবার...

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ শাহ, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা মোদির: কটাক্ষ তৃণমূলের

অনুপ্রবেশ ইস্যুকে বার বার জাগিয়ে তুলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আদতে নিজেদের ভুল নিজেরাই চোখ আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।...

রাজ্যে শুরু SIR প্রস্তুতি: একাধিক পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের

গোটা দেশেই এসআইআর লাগু হবে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার (Gyanesh Kumar)। বিহারে ৬৫ হাজার...