বছর দুয়েক আগে কাশ্মীরে জঙ্গিহানায় প্রাণ হারিয়েছিল রাজ্যের পাঁচ পরিযায়ী শ্রমিক। সেই নিহত পরিবারগুলির পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিনিধি হিসাবে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে নিহত পাঁচ পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন মন্ত্রী সুব্রত সাহা। সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি আরও দুটি পরিবারকে চাকরির আশ্বাস দিলেন। সেই সঙ্গে পাঁচ শহিদের স্মরণে এলাকায় হাইমাস্ট লাইটের ব্যবস্থাও করলেন।

২০১৯ সালের ২৯ অক্টোবর কাশ্মীরে জঙ্গিদের এলোপাথাড়ি গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যান মুর্শিদাবাদের পাঁচ পরিযায়ী শ্রমিক। আহত হন একজন। ওই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সাগরদিঘিতে পৌঁছে নিহত পরিবারের পাশে দাঁড়ান। দেওয়া হয় সরকারি সাহায্য। আহত ও নিহত পরিবারের মধ্যে চারটি পরিবারকে চাকরি দেয় রাজ্য সরকার। সেই ঘটনার দু বছর পূর্তিতে গ্রামে ওই পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করেন উদ্যানপালন ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী সুব্রত সাহা। আহত ও নিহত পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলে তাঁদের সুবিধা-অসুবিধার কথা জেনে নেন। মন্ত্রী বলেন, জঙ্গিহানায় নিহত ও আহত পরিবারদের মধ্যে বাকি দুজনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হওয়ায় নিহত শ্রমিকদের ডেথ সার্টিফিকেট পেতে সমস্যা হচ্ছে। তাতে নিহতদের পরিবাররা প্রচণ্ড সমস্যায়। মুর্শিদাবাদ জেলাশাসককে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। সভায় ছিলেন সাগরদিঘি ব্লক যুব সভাপতি কিসমত আলি-সহ অন্য তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।

আরও পড়ুন- ত্রিপুরা: কংগ্রেস ও বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দিলেন একঝাঁক নেতৃত্ব
