নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে কোনওরকমে রক্ষা পেলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব। আজ, সোমবার সকালে ত্রিপুরার মধুবন জেলার কাঁঠালতলী বাজারে গেলে গেলে একদল দুষ্কৃতী তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে। সুস্মিতার দাবি, বিজেপির পার্টি অফিসের সামনেই এমন ঘটনা। ফলে এটা প্রমাণ করে দেয় বিজেপির লোকেরাই তাঁর উপর হামলার চেষ্টা করেছে। যদিও নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতায় কোনওরকমে ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি।
এদিন কাঁঠালতলীতে এক সময়কার কংগ্রেস নেতা রতন দাসের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়িতে যাচ্ছিলেন। ঠিক সেই সময় তাঁর রাস্তা আটকে হামলা চালানোর চেষ্টা করা হয়। তাঁর মতো এখন সাংসদ যদি বারবার আক্রান্ত হন, তাহলে ত্রিপুরার সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কোথায়? প্রশ্ন তোলেন সুস্মিতা দেব।
আরও পড়ুন- আগামী বছর উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করবেন না অখিলেশ যাদব
ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূলের দাবি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সভা করে যাওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে দলীয় সাংসদের উপর হামলার চেষ্টা প্রমাণ করে, ভয় পেয়েছে বিজেপি। ভয় পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। এর আগেও গত ২২ অক্টোবর সুস্মিতা দেব আক্রান্ত হয়েছেন ত্রিপুরার মাটিতে। হাতে গুরুতর চোট পেয়েছিলেন তিনি। টাকার ব্যাগ ও মোবাইলও কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। ত্রিপুরা পুলিশের ডিজিকে তথ্য-প্রমাণসহ অভিযোগ জানানোর পরেও এখনও পর্যন্ত সেই দুষ্কৃতীদের একজনকেও গ্রেফতার করা হয়নি বলে অভিযোগ সুস্মিতার। তার মাঝে এদিন ফের হামলার মুখে পড়তে হচ্ছিল তাঁকে।
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় একের পর এক দলীয় নেতা-নেত্রীর উপর হামলার ঘটনায় বিপ্লব দেব সরকারের বিরুদ্ধে আগেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল। গত, শুক্রবার শীর্ষ আদালতে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেছেন তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেব। একই সঙ্গে ওই রাজ্যের রাজ্যপাল সত্যদেব নারায়ণ আর্যকেও লিখিত ভাবে অভিযোগ করেছেন তিনি। সুস্মিতার দাবি, ত্রিপুরায় রাজনৈতিক প্রচারে তৃণমূলকে বার বার বাধা দেওয়া হচ্ছে। হিংসার শিকার হচ্ছেন দলীয় নেতা-নেত্রীরা। তৃণমূলের কার্যালয়, গাড়ি ভাঙচুর এবং ভোটপ্রচারের সামগ্রীও নষ্ট করা হচ্ছে। বিপ্লব দেবের রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এক জন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠনেরও আর্জি জানিয়েছেন সুস্মিতা।