গড়িয়াহাটের জোড়া খুনে জালে মূল অভিযুক্ত ভিকি, আনা হচ্ছে ট্রনজিট রিমান্ডে

0
1

অবশেষে পুলিশের জালে গড়িয়াহাট জোড়া খুন-কাণ্ডের মূল ভিকি হালদার (Vicky Halder)। মুম্বই (Mumbai) থেকে তাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ভিকির সঙ্গেই গ্রেফতার হয়েছে অপর অভিযুক্ত শুভঙ্কর মণ্ডল (Shubhankar Mandol)। পুলিশ সূত্র খডর, শনিবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ মুম্বইয়ের পার্লে ইস্টের একটি বহুতল থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। স্থানীয় আদালতে তোলা হলে ভিকি এবং শুভঙ্করকে ট্রানজিট রিমান্ডে ৩ নভেম্বরের মধ্যে রাজ্য ফেরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, পার্লে ইস্টের সেন্ট জেভিয়ার্স স্ট্রিটের কল্পতরু আভানা অ্যাপার্টমেন্টে লুকিয়ে ছিল ভিকি ও শুভঙ্কর। পুলিশ বহুতলের নীচের থেকে আগে ভিকিকে ও পরে শুভঙ্করকে গ্রেফতার করা হয়।

আগেই গ্রেফতার করা হয়েছেএই হত্যাকাণ্ডের আর এক প্রধান অভিযুক্ত ভিকির মা মিঠু হালদার-সহ চারজনকে।

জোড়া খুনের পরে দু’দিন বাড়িতে থাকলেও মঙ্গলবার থেকে পাথরপ্রতিমায় আত্মীয়ের বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন জাহির ও বাপি। শেষ পর্যন্ত দুজনকে আটক করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, কর্পোরেট-কর্তা সুবীর চাকি ও তাঁর গাড়ির চালক রবীন মণ্ডলকে খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এই দুজন।

খুনের দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকার কথা মানলেও তাঁরা খুনের দায় পুরোপুরি চাপিয়েছেন ভিকির উপরই। বাপির স্ত্রী বন্দনার দাবি, ঘটনার পরে বাড়ি ফিরে বাপির হাত-পা কাঁপছিল। বার বার বলছিল, “আমাকে বাঁচাও। ভিকিই গলায় ছুরি চালিয়েছে। আমি খুন করিনি।”

গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বছরখানেক আগে থেকে ষড়যন্ত্র হয়েছিল। ক্রেতা সেজে তাঁর কাঁকুলিয়া রোডের বাড়ি কেনার জন্য সুবীরকে ডেকে পাঠায় ভিকি। ১৭ অক্টোবর সুবীরের কাঁকুলিয়া রোডের বাড়িতে পৌঁছন তিনি। খুনের উদ্দেশ্যে আগে থেকেই ছুরি কিনে রেখেছিল ভিকি। জাহির এবং বাপি-সহ পাঁচজনকে নিয়ে সুবীরের বাড়িতে যায়। তারপর তাঁরা সুবীর এবং তাঁর গাড়ি চাললকে খুন করে। ঘটনায় তদন্ত শুরু করে লালাবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ। চার দিনের মাথায় ধরা পড়ে জোড়া খুনে মূল অভিযুক্ত মিঠু। তাঁকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, বাপি এবং জাহিরের কথা। কিন্তু বারবার সিম বদলে, ফোন বন্ধ রেখে পুলিশের চোখে ধুলো দিচ্ছিল ভিকি। শেষ পর্যন্ত ধৃতদের জেরা করে ভিকি সন্ধান পেল পুলিশ।