‘সময়ের সঙ্গে সবসময়ে প্রাসঙ্গিক ছিলেন সুব্রতদা’:তাপস রায়

সময় বদলায়। ভাবনা বদলায়। বদলায় পরিস্থিতি। বদলে যায় রাজনীতিও। এভাবে বদলে যাওয়া রাজনীতির কঠিন পিচে টানা পঞ্চাশ বছর ব্যাট করে যাওয়াটাই বোধহয় সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সবচেয়ে বড় সাফল্য। প্রায় অর্ধেক শতাব্দী রাজ্য রাজনীতির শীর্ষস্তরে নিজেকে প্রাসঙ্গিক রাখা, এ বিষয়ে সুব্রতদার কোনও জুড়ি নেই। কী কংগ্রেস, কী তৃণমূল কংগ্রেস, দু’জায়গাতেই সাফল্যের সঙ্গে এ কাজটি যিনি করে দেখিয়েছেন, তাঁর নাম সুব্রত মুখোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন:‘সংসদে সুব্রতদা গেলে বদলাত বাংলার চিত্র’:সমীর চক্রবর্তী

সুব্রতদার কথা মনে পড়লে এটাই আমার প্রথম মাথায় আসে। সেই সঙ্গে সুব্রতদার রসবোধ। যে কোনও আড্ডা বা গল্পগুজবে সুব্রতদার মতো রসিক মানুষের সত্যি জুড়ি মেলা ভার। সেই সঙ্গে কিছু প্রাচীন ও গ্রামীণ বা গেঁয়ো শব্দের উদাহরণ সুব্রতদার ঠোঁটের কোনায় সব সময় তৈরিই থাকত। এসব শুনে আমরা হাসতাম। বিধানসভার অধিবেশনেও রসিক সুব্রতদার উপস্থিতি আমরা সবাই উপভোগ করতাম। কখনও বিরোধী হিসেবে শাসকদের, উল্টোদিকে শাসকের ভূমিকায় বিরোধীদের প্রতি তাঁর তীব্র ও রসাল কটাক্ষ জমিয়ে রাখত বিধানসভাকে।  দু’জনের পরিচয় পর্বটা ছিল দীর্ঘদিনের। ব্যক্তিগতভাবে সুব্রতদাকে পছন্দ করতাম। উনিও আমাকে পছন্দ করতেন। তবে রাজনীতির এসব কচকচানি আমাদের ব্যক্তিগত সম্পর্কে কোনওদিন কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি। পরিচয় পর্ব থেকে নিয়ে শেষদিন পর্যন্ত এই সম্পর্ক ছিল অটুট। সুব্রতদাকে অশ্রদ্ধা করা কোনও দিন ভাবতেও পারিনি।

Previous article‘সংসদে সুব্রতদা গেলে বদলাত বাংলার চিত্র’:সমীর চক্রবর্তী
Next articleউপনির্বাচনে চূড়ান্ত ভরাডুবি বিজেপির, আজ কর্মসমিতির বৈঠকে মোদি-শাহরা