ত্রিপুরা পুলিশের থেকে বিজেপি নিয়ম শিখে আসুক,কটাক্ষ কুণালের

পেট্রোপণ্যে ভ্যাট কমানোর দাবিতে বিজেপির আন্দোলন আজ বলা যেতে পারে ভেস্তে গিয়েছে।সেই কর্মসূচিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ত্রিপুরায় তো ওদের সরকার চলছে। ওখানকার পুলিশের থেকে ওরা নিয়ম শিখে আসুক। করোনার জন্য তো ওখানে কোনও আন্দোলন করতে দেওয়া হয় না। ত্রিপুরা পুলিশের নিয়মকানুন তো ওদের জানা উচিত।অনুমতি নিয়ে মঞ্চ তৈরি করলেও ওখানকার পুলিশ ভেঙে দিতে বলে।
কুণালের কটাক্ষ, দিল্লি পেট্রোল-ডিজেলে একটু কর ছাড় দিয়েছে। ওরা রাজ্যর চেয়ে বেশি কর পায়।আগে মুল দামটা কমাক।দিল্লির নির্দেশে বঙ্গ বিজেপির নেতারা মানুষকে বিভ্রান্ত করতে রাস্তায় নেমেছেন।ওই তো হাতেগোনা কটা লোক! ওনাদের যা যোগ্যতা, তা ওই মুরলিধর সেন লেনের গলিতে জনসভার পক্ষে আদর্শ। এর বেশি হলে রাস্তাঘাটে হারিয়ে যেতেন। কেউ দেখতে পেত না।খুঁজে পাওয়া মুশকিল হয়ে যেত। ওনাদের মান অনুযায়ী খুব ভালো সভা হয়েছে।
জ্বালানি নিয়ে বিজেপি রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ করেন কুণাল। তৃণমূল মুখপাত্রর কটাক্ষ, বিজেপির জনাকয়েক লোককে রাস্তায় দেখলাম। পেট্রোল-ডিজেলের দাম নিয়ে সস্তার রাজনীতি করছে। লাগাতার দাম বাড়িয়েছে কেন্দ্র সরকার। জ্বালানিতে রাজ্য সরকারের থেকে অনেকটা বেশি পরিমাণ কর পায় কেন্দ্র। উপনির্বাচনে হারার পরেই বোধোদয় হয়েছে। তাই কিছুটা ছাড় দিয়ে চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
তার সাফ কথা,এটা করের লড়াই নয়, মূল দামটা আগে কমানো হোক। কেন্দ্র ও রাজ্যের প্রাপ্ত করের পুনর্বিন্যাস হোক। এইভাবে কিছুটা ছাড় দিয়ে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। বিজেপি শাসিত রাজ্য সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যকে টাকা দেওয়া হলেও বাংলাকে তার প্রাপ্য বকেয়া টাকা কেন দেওয়া হচ্ছে না সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। রান্নার গ্যাসের দাম নিয়েও সবাই চুপ কেন? কোনও ইস্যু নেই বলেই জ্বালানির দাম নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে।
ত্রিপুরার পুলিশ যে নিয়মে চলে, সেই নিয়ম মানলেই তো এতো কষ্ট হয় না। ত্রিপুরায় গিয়ে নিয়ম শিখে আসুন। অভিষেক আসবে বলে গোটা শহর ১৪৪ ধারা জারি করে। এখানের রাস্তায় নাটক করছেন কেন? নিজেদের অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীবাজির প্রতিযোগিতা চলছে। ঘরে বসে একসঙ্গে এককাপ চা খেতে পারে না, তাঁরা রাস্তায় নেমে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।জ্বালানি নিয়েও রাজনীতি।

Previous articleসৈয়াদ মুস্তাক আলিতে বড় জয় বাংলার, ৯ উইকেটে জিতল সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের দল
Next articleঅনেক কিছু শেখার ছিল সুব্রতর থেকে: বিধানসভায় শোক প্রস্তাবে মন্তব্য স্পিকারের