এ বার, ভার্চুয়ালি জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার, চন্দননগরের দুটি জগদ্ধাত্রী পুজো এবং পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন বিভাগের তত্ত্বাবধানে থাকা শ্রীরামপুরের মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরের সংস্কার ও সৌন্দর্যায়নের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিল কলকাতা পোস্তা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির পুজোর উদ্বোধন।

এদিন, মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ছটপুজো মিটলেই জগদ্ধাত্রী পুজো। শুধু জগদ্ধাত্রী পুজো নয়, বড়দিন থেকে শুরু করে সমস্ত মেলা উত্সব সবই হবে। কারণ, শীতে নানা ছোট ছোট স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কাজের সময় এটা। তাই সমস্ত পুজো-মেলা সবই হবে। উত্সব হবে। কোনও মেলা-উত্সব আটকানো যাবে না। সকলকে অনুরোধ করব, আপনারা সাবধানে পুজো করুন। পুলিশ প্রশাসনকে বলব ব্যবস্থা নিক। কোনওরকম সমস্যা যেন না হয়। আমরা অনেকগুলো তীর্থক্ষেত্রের সৌন্দর্যায়ন করেছি। দিঘাতেও একটি জগন্নাথ মন্দির করার পরিকল্পনা করেছি।”

‘উত্সব আটকাবে না’, জগদ্ধাত্রী পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধনে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। সোমবারই পুজো দেখার গাইড ম্যাপ প্রকাশ করেছেন চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অর্ণব ঘোষ। এদিন, সমস্ত উত্সব পালনের কথা ঘোষণা করলেও কোভিডকালে কীভাবে বা কোন কোন নিয়ম মেনে সেসমস্ত পালিত হবে তা নিয়ে যদিও কোনও স্পষ্ট বার্তা দেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে, ১০ ও ১১ নভেম্বর ছট পুজোর জন্য রাতের বিধিনিষেধ শিথিল করেছে সরকার। কিন্তু জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য গতকাল পর্যন্ত কোনও নির্দেশিকা না আসায় নৈশ বিধি বহাল থাকবে বলেই পদক্ষেপ করছিলেন পুলিশ কর্তারা।

নতুন নির্দেশিকা না আসা পর্যন্ত জগদ্ধাত্রী পুজোর অষ্টমী, নবমী ও দশমীতে নৈশ বিধি নিষেধ বহাল থাকবে বলেই ধরে নিয়েছিলেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। আগামিকাল, বুধবার ষষ্ঠী। বুধ ও বৃহস্পতিবার সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, ছট পুজোর কথা মাথায় রেখে নাইট কার্ফু শিথিল করা হয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে জগদ্ধাত্রী পুজোর অষ্টমী ও নবমীর ক্ষেত্রে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তা নিয়ে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্তও ধোঁয়াশা ছিল।

কিন্তু এদিকে দুর্গাপুজোর পর থেকেই যেভাবে সংক্রমণের গ্রাফচিত্র উর্ধ্বমুখী, তা নিয়েও চিন্তিত বিশেষজ্ঞমহল। এই নিয়ে প্রশাসনিক কর্তাদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও সচেতন করা হয়েছে। কোভিড বিধি যথাযথভাবে মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন- উপনির্বাচনে রেকর্ড মার্জিনে জয়ী ৪ তৃণমূল বিধায়ক শপথ নিলেন বিধানসভায়