রুদ্র-প্রিয়াঙ্কার মতো গো-হারাদের হাতে পুরভোটের দায়িত্ব! বিজেপিতে আদি-নব্য দ্বন্দ্ব তুঙ্গে

কলকাতা ও হাওড়ায় পুরভোটের দিন ঘোষনা হতেই ফের গেরুয়া শিবিরের অন্দরে আদি ও নব্যদের মধ্যে অশান্তির বাতাবরণ। রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে এমনই ছবি দেখা গিয়েছিল বিজেপিতে। কলকাতা ও হাওড়ার নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই বৈঠকে মূলত বিশেষ কমিটি গঠন ও সেই কমিটির পদে থেকে কারা দ্বায়িত্ব পালন করবেন, তা নিয়েই আলোচনা হয়। সুকান্ত-শুভেন্দুদের বেশকিছু সিদ্ধান্তে আগুনে ঘি পড়ে।

হাওড়ার ৫০ টি ওয়ার্ডের জন্য একটি কমিটি গড়া হয়েছে। চেয়ারম্যান করা হয়েছে, তৃণমূল থেকে বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়া তথা প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তীকে৷ অন্যদিকে, কলকাতাকে চারটি জোনে ভাগ করে গড়া হয়েছে ৪ কমিটি। তাদের মাথায় বসানো হয়েছে উত্তর কলকাতা জোনের জন্য কল্যাণ চৌবে, দক্ষ্মিণ কলকাতার জন্য রুদ্রনীল ঘোষ, সাউথ সাবার্বানের জন্য তুষার কান্তি, এবং মধ্য কলকাতা জোনের চেয়ারম্যান করা হয়েছে প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালকে। এবং হাওড়া ও কলকাতার কমিটিতে দায়িত্ব পাওয়া সকলেই বিধানসভা ভোটে গো-হারা হেরেছেন।

এই কমিটি দেখে বিস্মিত আদি তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।
হাওড়ার রথীন, দক্ষিণ কলকাতার রুদ্রনীল বা প্রিয়ঙ্কা- এরা কেউই সেই অর্থে আদি বিজেপি তো নয়ই। উত্তর কলকাতায় কল্যাণ চৌবে আবার অনভিজ্ঞ। এদের কেউ কেউ সরাসরি তৃণমূল বা বামপন্থী ছিলেন। ফলে,বৈঠকের মধ্যেই হতাশ আদি বিজেপি আর নব্য বিজেপির মনোমালিন্য প্রকাশ্যে। সঞ্চার হয়েছে ক্ষোভের আদি বিজেপির মধ্যে।

আদি বিজেপির বক্তব্য, শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভার আগে বড় বড় কথা বলে দলকে ডুবিয়েছেন। দুই মেদিনীপুরেও শুভেন্দুর জন্য হাল খারাপ হয়েছে বিজেপির। তাঁর নিজের বাড়ির বিধানসভা ও বুথে মুখ থুবড়ে পড়েছিল বিজেপি প্রার্থীরা। উপনির্বাচনগুলিতেও যেখানে যেখানে শুভেন্দু গিয়েছে, সেখানে সেখানে রেকর্ড মার্জিনে জিতেছে তৃণমূল। পুরভোটে সেই শুভেন্দুর কথাতে চললে বিজেপিটাই উঠে যাবে। তাছাড়া কমিটিতে যাঁদের রাখা হয়েছে, তাঁরা সকলেই বিধানসভা ভোটে নিজেদের কেন্দ্রে গো-হারা হেরেছে। মানুষের কাছে এদের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। বেছে বেছে তাদেরকেই দায়িত্ব দিয়েছেন শুভেন্দু-সুকান্ত। যা পুরোনো দিনে বিজেপির সৈনিকদের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।

এদিকে, পুরভোটের আগে অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসতেই চরম অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। পুরভোটের আগে এমন গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে লড়াইয়ের ময়দানে নামার আগেই ব্যাকফুটে বিজেপি।

 

 

 

Previous articleকৃষ্ণনগরে পথ অবরোধে আটকে অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে মৃত হল শিশুর
Next articleকোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ডকে বিশ্বের ৯৬টি দেশ ছাড়পত্র দিয়েছে