জয় শ্রীরাম স্লোগান তুলে হামলা আর সীতার কথা বললে মামলা! রামায়ণ হাতে ত্রিপুরার পথে কুণাল

“এত মামলা নোটিশে পরিশ্রম না করে আমাকে গ্রেফতার করুক।” ত্রিপুরা যাওয়ার আগে সকালেই টুইট করে বিজেপি(BJP) সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন কুণাল ঘোষ(KunalGhosh)। এদিন কলকাতা বিমানবন্দরের সামনে দাঁড়িয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ফের একবার ত্রিপুরা(Tripura) বিজেপিকে তুলোধোনা করলেন তিনি। জানিয়ে দিলেন, “রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে বিজেপি। তাই আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা করছে। আসলে বিজেপি ভয় পেয়েছে।” পাশাপাশি তার আরও দাবি, “জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুস্মিতা দেব ও দলের নেতাকর্মীরা একের পর এক আক্রান্ত হচ্ছেন। অথচ আমি রামায়ণের সীতার কথা বললে মামলা দায়ের করা হচ্ছে? তাহলে বলে দেওয়া হোক রামায়ণের কোন অংশটা বলা যাবে আর কোন অংশটা বলা যাবে না।” তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার প্রেক্ষিতে এদিন ত্রিপুরা যাওয়ার সময় রামায়ণ ও রামায়ণ সংক্রান্ত একাধিক বইও সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছেন কুণাল ঘোষ।

পাশাপাশি একের পর এক মামলার প্রেক্ষিতে ত্রিপুরা পুলিশের ডিজিকে একটি আইনি চিঠি দেওয়ার কথাও প্রকাশ্যে আনেন কুণাল ঘোষ। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, “আমার আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তীর তরফে ত্রিপুরার ডিজিকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে রাজনৈতিকভাবে পাল্লা দিতে না পেরে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ মামলার পর মামলা দিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে এবং দূর-দূরান্তে ডেকে পাঠিয়ে শারীরিকভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। এতে আমার প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। সেরকম যদি কিছু ঘটে তার জন্য সম্পূর্ণরূপে দায়ী থাকবেন ত্রিপুরা ডিজি। এই চিঠির আরো তিনটি কপি পাঠানো হয়েছে হাইকোর্ট ত্রিপুরার রাজ্যপাল এবং মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানকে।”

প্রসঙ্গত, তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে , তাঁর দুটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে আগেই তিনটি মামলা রুজু করা হয়েছিল। প্রথমত, রাম রাজ্যে কেন সীতার পাতাল প্রবেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র। দ্বিতীয়ত, রাজনীতিতে ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগানের বিরোধিতা করেছিলেন তিনি। ভোটের প্রচারে ত্রিপুরায় গিয়েছিলেন কুণাল। অভিযোগ, সেই প্রচারসভা থেকে রামায়ণ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি। কুণাল প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘রামরাজ্যে সীতাকে পাতালে প্রবেশ কেন করতে হয়েছিল। কেনইবা অগ্নিপরীক্ষা দিতে হয়েছিল সীতাকে।’ তার এই মন্তব্য ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছে বলে অভিযোগ করা হয়। এরপরই ত্রিপুরার তিনটি থানা অমরপুর , ওম্পি এবং নতুন বাজারে কুণালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই সূত্র ধরে তাঁকে নোটিস পাঠায় পুলিশ। তাঁর প্রেক্ষিতে রামায়ণ ও রামায়ণ সংক্রান্ত একাধিক গবেষণামূলক বই সঙ্গে নিয়ে আজ ত্রিপুরা পুলিশের কাছে যাচ্ছেন কুণাল ঘোষ।

Previous articleকাটল আইনি জট! ১৬ নভেম্বরই খুলছে স্কুল,জানাল কলকাতা হাইকোর্ট
Next articleজোয়ার ছবিতে ৩ স্টার কিড, কে কে আছেন তালিকায়?