Mamata Bandopadhyay: খারাপ কাজে ভর্ৎসনা, ভালো কাজে প্রশংসা: নরম-মেজাজে মমতা

গৌতম চৌধুরীকে ভর্ৎসনা, রাণা চট্টোপাধ্যায়ের ভূয়ষী প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রীর

জলের মধ্যে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার, প্রশাসনিক বৈঠক থেকে উত্তর হাওড়ার সেই বিধায়ক গৌতম চৌধুরীকে (Goutam Chowdhury) ভর্ৎসনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানালেন, হাওড়ার নিকাশি সমস্যার স্থায়ী সমাধানে তিন পর্যায়ে কাজ চলছে। পাশাপাশি ভালো কাজের জন্য বালির বিধায়ক ডা রাণা চট্টোপাধ্যায়ের (Rana Chatterjee) ভূয়ষী প্রশংসা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)।

এদিন, প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, হাওড়ার নিকাশি সমস্যার স্থায়ী সমাধানে তিনটি ধাপে কাজ চলছে। প্রথম ধাপের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, “জল জমা হাওড়া শহরের বহু পুরানো সমস্যা। ৭০ বছরে এই সমস্যার সমাধানে কেউ কাজ করেনি। আমরা কাজ শুরু করেছি।” এই প্রসঙ্গে উত্তর হাওড়ার দলীয় বিধায়ক গৌতম চৌধুরীকে ভর্ৎসনাও করেন মুখ্যমন্ত্রী। জল জমার সমস্যা নিয়ে গৌতম বলতে উঠতেই মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে প্রশ্ন করেন “তুমি গৌতম চৌধুরী? তুমি একদিন কেন রাস্তায় বসেছিলে?” মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে বলেন “রাস্তায় জল জমে গিয়েছিল বলে তুমি রাস্তায় বসে পড়বে? প্রকৃতি কি আমাদের হাতে? গত ৮০ বছরে এত বৃষ্টি হয়নি। এই অবস্থায় কোথায় তুমি মানুষকে সহযোগিতা করবে, তা না করে রাস্তায় গিয়ে বসে গিয়েছ। মনে রাখবে তৃণমূল কংগ্রেসের একটা কালচার রয়েছে। খবরদার এগুলো করবে না। দরকার হলে জমা জলটা নিজে সরানোর চেষ্টা করবে।” বিধায়ককে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট বলেন “চাই চাই নয়, আমি কি দিতে পারি সেটাই দেখতে হবে। তোমাকে জনগণ অনেক দিয়েছে। এবার তোমার দেওয়ার পালা। কেউ বঞ্চিত হলে সেটা দেখার দায়িত্ব তোমার।” হাওড়া শহরে নিকাশী সমস্যার স্থায়ী সমাধানে তিনটি পর্যায়ে জোরকদমে কাজ চলছে। নিকাশী সমস্যার আমূল সংস্কার করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের দিয়ে নকশা তৈরি করে কাজ চলছে। খড়গপুর আইআইটি, শিবপুর আইআইইএসটির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। বিদেশের বিশেষজ্ঞদেরও পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান মমতা।

হাওড়ার প্রশাসনিক বৈঠকে বালির বিধায়ক ডা রাণা চট্টোপাধ্যায়ের ভূয়ষী প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে বলেন, “আপনি খুব ভালো কাজ করছেন। এইভাবেই কাজ করুন। বালিকে সুন্দরভাবে এগিয়ে নিয়ে চলুন। বালি তার স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে এগিয়ে যাবে। আপনি কাজ করুন। আপনাকে আমরা পুরো সাপোর্ট দেব।” বালিকে আলাদা পুরসভা হিসেবে ঘোষণা করায় মুখ্যমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানান রাণা চট্টোপাধ্যায়।

সমবায়মন্ত্রী ও মধ্য হাওড়ার বিধায়ক অরূপ রায়েরও প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। শারীরিক অসুস্থতার কারণে অরূপ রায় এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী সমবায়মন্ত্রীর দ্রুত সুস্থতা কামনা করে বলেন “তুমি দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠো। তোমাকে আমাদের দরকার। কদিন বিশ্রাম নিয়ে তারপর কাজ শুরু করো।”

আরও পড়ুন- Tathagata Roy: ‘সংস্কার না হলে পশ্চিমবঙ্গে দলের বিলুপ্তি অবশ্যম্ভাবী!’‌, ফের বিস্ফোরক তথাগত

 

Previous articleতাণ্ডব উপেক্ষা করে দিনভর ত্রিপুরায় পুরভোটের প্রচার তৃণমূলের
Next articleKhel City: হাওড়ায় আন্তর্জাতিক মানের খেল নগরী তৈরির ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর