Tripura: রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র! হাস্যকর মামলায় গ্রেফতার সায়নী, আগামিকাল সকালেই আগরতলায় যাচ্ছেন অভিষেক

রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সায়নীর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের ত্রিপুরা পুলিশের। সোমবার তোলা হবে আদালতে।

রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পরে সন্ধের মুখে গ্রেফতার করা হল তৃণমূলের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে (Sayani Ghosh)। তাঁর বিরুদ্ধে হাস্যকর অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। যুবনেত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল (Tmc) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay)। আজ রাতেই ত্রিপুরা যেতে চেয়েছিলেন অভিষেক। কিন্তু আগরতলা বিমানবন্দরের টেকনিক্যাল জটিলতার কারণে সিদ্ধান্ত বদল করতে হয়। সোমবার সকালেই আগরতলা যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, সায়নীর গ্রেফতার সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। পরিকল্পিতভাবে থানায় ডেকে নিয়ে গিয়ে সায়নীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দেওয়া হয়েছে এবং সেটা করা হয়েছে সন্ধেবেলায়। ফলে সোমবার তাঁকে আদালতে পেশ করার কোনও সুযোগ থাকছে না। রাতে আগরতলা মহিলা থানাতেই থাকতে হবে তাঁকে। সোমবার, সায়নীকে আদালতে পেশ করা হবে বলে জানিয়েছেন এসডিপিও। সায়নীর বিরুদ্ধে ১৫৩, ১৫৩ (এ), ৫০৬, ৩০৭, ১২০ (বি) ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেন, আগামিকাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা রয়েছে আগরতলায়। সেই কর্মসূচি বানচাল করার জন্যেই পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সায়নীকে থানায় ডেকে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। যে সায়নী গাড়ি থেকে নামেননি পর্যন্ত, তাঁর জন্য কারও কোনও ক্ষতি হয়েছে তা দেখাতে পারছে না পুলিশ- তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয় কী করে! এটা সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ তৃণমূল নেতৃত্বের। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার আগে ভয় পেয়ে গিয়েছে বিজেপি। সেই কারণেই দলদাস পুলিশকে দিয়ে এ কাজ করাচ্ছে তারা।
সায়নীর গ্রেফতারের খবর শুনে রবিবার রাতেই আগরতলা যাওয়ার পরিকল্পনা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু আগরতলা বিমানবন্দর টেকনিক্যাল জটিলতার কারণে রবিবার রাতের বদলে সোমবার সকালে সেখানে যাচ্ছেন অভিষেক। আগরতলার থানায় বিজেপির হামলার প্রেক্ষিতে আগেই টুইটে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। লেখেন,
“বিপ্লবকুমার দেব এতটাই নির্লজ্জ হয়ে গিয়েছেন যে এখন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকেও তোয়াক্কা করছেন না।
নিরাপত্তা না দিয়ে উল্টে বারবার গুন্ডা পাঠিয়ে আমাদের সমর্থক ও নারী প্রার্থীদের হামলা করাচ্ছেন তিনি! ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার গণতন্ত্রকে প্রহসনে পরিণত করেছে। #NotMyINDIA” । এদিন হামলা সংক্রান্ত ভিডিও নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন তিনি।
 রবিবার রাতেই ত্রিপুরায় অশান্তি এবং সায়নী ঘোষের গ্রেফতারের বিষয় নিয়ে দিল্লিতে যাচ্ছে তৃণমূলের সংসদীয় প্রতিনিধিদল। 15 জন সাংসদ থাকছেন দলে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে চায় তৃণমূল। সোমবার সকাল থেকেই ত্রিপুরার ঘটনার প্রতিবাদে দিল্লিতে ধরনা কর্মসূচি পালন করা হবে।
এদিন পুলিশের অনুরোধে সৌজন্যে দেখিয়ে তৃণমূল যুব নেত্রী সায়নী ঘোষকে নিয়ে আগরতলা পূর্ব মহিলা থানায় যান তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh), অর্পিতা ঘোষরা (Arpita Ghosh)। সায়নীকে জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন আচমকাই থানা আক্রমণ করে বিজেপির গুন্ডাবাহিনী। ভাঙচুর করা হয় ত্রিপুরার তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিকের গাড়ি-সহ একাধিক গাড়ি। আহত হন ৭ তৃণমূল কর্মী।
থানা ঘিরে পুলিশের সামনেই চলে তান্ডব। তৃণমূল পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয় ত্রিপুরা প্রশাসন। এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন অভিষেক। তোপ দাগেন বিপ্লব দেব সরকারের বিরুদ্ধে।

Previous articleপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি: রাজ্যের এজি
Next articleসায়নী ঘোষ কে গ্রেফতার করা হল জানালেন এডিশনাল এসপি