“কোথায় গেল মানবাধিকার কমিশন (Human Rights Commission )? আমাদের বেলায় তো কত মানবাধিকার কমিশন আর ৩৫৫-র কথা বলা হত।’’ দিল্লি (Delhi) পৌঁছনোর আগে প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের উপর হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister)। তিনি অভিযোগ করেন, ত্রিপুরায় (Tripura) শুধুমাত্র তৃণমূল নয়, কোনও মিডিয়াকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ত্রিপুরা ছাড়াও উত্তরপ্রদেশ, অসম-সহ একাধিক রাজ্যে এই পরিস্থিতি বলে দাবি করেন মমতা।

সোমবার মমতা (Mamata Banerjee) বলেন, “ত্রিপুরায় যেভাবে গণতন্ত্রের হত্যা হয়েছে তা সারা দেশের মানুষ দেখেছে। বিজেপিশাসিত (BJP) রাজ্যের এমন শাসন ব্যবস্থায় মানুষ হাঁপিয়ে উঠেছে।” মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “দিল্লি যাওয়ার বিষয়টি আগে থেকেই ঠিক ছিল। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বুধবার দেখা করার কথা রয়েছে। বিশেষত বিএসএফের (BSF) ইস্যু নিয়ে আমি কথা বলতে যাচ্ছি। গায়ের জোরে এলাকা দখল করতে দেব না। বিএসএফ তো আর আমার শত্রু নয়। বিজেপি যেভাবে মনে করছে, বিএসএফ মানে বিজেপি (BJP) সেফ – সেটা তো ঠিক নয়। প্রতিটি সংগঠনের একটি নিজস্বতা আছে। এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব রাজ্য পুলিশের। তারাও একটি ক্যাডার। আবার অন্যান্য এজেন্সি – সিআইএসএফ, সিআরপিএফ, বিএসএফ তারাও ক্যাডার। এরা গায়ের জোরে এজেন্সিগুলিকে নিজের দলের কাজে লাগাচ্ছে।”


ত্রিপুরায় সায়নীর (Saayoni Ghosh) গ্রেফতারি প্রসঙ্গে সর্বভারতীয় তৃণমূল নেত্রী বলেন, “সায়নী একজন শিল্পী। তাঁকেও খুনের চেষ্টার মামলায় জড়ানো হয়েছে। কাল রাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” তিনি আরও বলেন,”আমরা কত লোককে যে পিজি হাসপাতালে নিয়ে এসেছি চিকিৎসা করাতে তার কোনও হিসেব নেই। ওখানে আহতদের চিকিৎসা পর্যন্ত করতে দেওয়া হচ্ছে না।”

এদিন মমতা আরও বলেন,” আমাদের এখানে তো ওদের অনেক নেতা এসেছে। আমরা তো বাধা দিইনি। এখানে কত কিছু ব্যাবহার করা হয়েছিল। এবার ত্রিপুরা ইস্যু নিয়েও আমি কথা বলব। কেন্দ্র ক্ষমতা দখল করতে চাইছে। কিন্তু আমি তা হতে দেব না।”