পুরভোটে সন্ত্রাসের প্রতিবাদে মন্ত্রীকে ঘিরে মহিলা ভোটারদের বিক্ষোভ, থানা ঘেরাও তৃণমূলের, উত্তাল আগরতলা

বিজেপি শাসিত ত্রিপুরার মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন মহিলা ভোটাররা

পুরভোটের নামে দিনভর গণতন্ত্রকে নগ্ন করা হল ত্রিপুরার বুকে। ভোটের নামে শুধু প্রহসন নয়, বিপ্লব দেবের রাজ্যে গেরুয়া সন্ত্রাস ছাপিয়ে গেল সমস্ত নির্লজ্জতাকে। ভোটের দিন আগরতলা সহ তৃণমূল নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের উপর একের পর এক হামলার প্রতিবাদে পূর্ব আগরতলা থানা ঘেরাও করলেন তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিনভর দাপিয়ে বেড়াল বিজেপির বাইক বাহিনী। ছাপ্পা থেকে শুরু করে বিরোধী প্রার্থী ও তাঁর পরিবারের লোকেদের উপর হামলা। বিরোধী প্রার্থীকে পর্যন্ত ভোট দিয়ে বাধা দেওয়া হয়। আর সবকিছুই হল পুলিশের সামনে। নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করল খাঁকি উর্দিধারীরা।

ভোটের দিন সকাল থেকেই পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছিল। আর সেই অভিযোগকে সামনে রেখেই পূর্ব আগরতলা থানার বাইরে সুবল ভৌমিকের নেতৃত্বে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন তৃণমূল নেতারা। পরে তাঁদের আটক করে পুলিশ।

সকাল থেকেই আগরতলায় বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটলুঠ, অশান্তির অভিযোগ করছিল তৃণমূল। অভিযোগ ছিল, পুলিশ নিষ্ক্রিয়তারও। দুপুরে সেই অভিযোগেই পূর্ব আগরতলা থানার সামনে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূল নেতা-কর্মীর। পরে পুলিশ এসে নেতা, প্রার্থী ও কর্মীদের সরিয়ে নিয়ে যান। যা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

অন্যদিকে, বিজেপি শাসিত ত্রিপুরার মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন মহিলা ভোটাররা। তখন তাঁদের উপর রণমূর্তি ধারণ করেন মন্ত্রী মশাই। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

আরও পড়ুন:Meghalaya: কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা-সহ ১২ বিধায়ক, মেঘালয়ের প্রধান বিরোধী দল তৃণমূল

Previous articleগণতন্ত্রের যে অভিধান আপনারা উপহার দিলেন সেটা মনে রাখবেন: ত্রিপুরা প্রসঙ্গে কুণাল
Next articleFirhad Hakim: “ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসই সরকার বানাবে”, দাবি ফিরহাদ-এর