News Media: গণতন্ত্রের কণ্ঠ রোধে ন্যাক্কারজনক পরিকল্পনা, সংবাদে নজরদারির বেনজির সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের

বেসরকারি সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচনের সময় গণতন্ত্রের সংবাদ মাধ্যমের উপর নজর রাখার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

বিজেপির (Bjp) আমলে গণতন্ত্রের কণ্ঠ রোধ করা হচ্ছে বিরোধীদের তো বটেই সংবাদমাধ্যমের (News Media) স্বাধীনতা হরণের চেষ্টা চলছে। এই প্রথম কোনও বেসরকারি সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচনের সময় গণতন্ত্রের সংবাদ মাধ্যমের উপর নজর রাখার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এই সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কেন্দ্রের মদতেই নির্বাচন কমিশনের এমন সিদ্ধান্ত বলে অভিযোগ। এতদিন এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখিয়ে বিরোধীদের কোণঠাসা করতে চেয়েছে বিজেপি। এবার নির্বাচন কমিশনের মাধ্যম দিয়ে সংবাদমাধ্যমের উপর তারা চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে বলেই মত সব মহলের।

আগামী বছরের গোড়াতেই থেকেই শুরু হচ্ছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন (Election)। কমিশন সূত্রে খবর, সংবাদ মাধ্যমের নির্বাচন সংক্রান্ত ‘কভারেজ’-এ নজর রাখতেই বেসরকারি নির্বাচনী বিশ্লেষক সংস্থা (Agency), যাঁদের পোশাকি পরিচয় ‘ওয়াচডগ’ তাঁদের কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বেসরকারি সংস্থা বা নিউজ এজেন্সি দিয়ে এবার সংবাদমাধ্যমের উপর নজরদারি চালাতে চাইছে নির্বাচন কমিশন।

আরও পড়ুন:Constitution Day: আজ ভারতের ‘সংবিধান দিবস’, জানেন এর তাৎপর্য কতটা?

এই পদক্ষেপ বেনজির। গণতন্ত্রের ইতিহাসে এর আগে কখনও বেসরকারি সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের উপর নজর রাখেনি কোনও প্রতিষ্ঠান। এই বেসরকারি সংস্থার প্রধানত কাজ- রাজ্যভিত্তিক নির্বাচনী আবহে জাতীয় ও আঞ্চলিক সংবাদমাধ্যমের উপর নজর রাখা। শুধু পত্রপত্রিকা বা বৈদ্যুতিন মাধ্যমই নয়, ডিজিটাল ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের উপরেও নজরদারি করা হবে। যে রাজ্যে ভোট যেখানেই দৈনন্দিন প্রকাশিত খবরগুলিকে নিয়ে এই সংস্থাগুলি তাঁর মূল্যায়ন করে বিস্তারিত রিপোর্ট দৈনিক জমা দেবে কমিশনে। ইতিমধ্যেই এনিয়ে একটি প্রস্তাব কেন্দ্রীয় তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রক এবং কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এ নিয়ে টেন্ডার দাখিল করতে পারবে বেসরকারি এজেন্সিগুলি।

কমিশনের তরফে ‘আরএফপি’তে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, সমস্ত ধরনের গণমাধ্যমের উপর নজরদারি করার ক্ষমতা রাখতে হবে এই জাতীয় বেসরকারি সংস্থাগুলিকে। বেসরকারি সংস্থার পাঠানো রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই সংবাদমাধ্যম-গুলির কাজের ধরন বোঝার চেষ্টা করছে কমিশন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু হঠাৎই কেন এই সিদ্ধান্ত? এ প্রসঙ্গে কমিশনের মুখপাত্র শেফালি শারণের যুক্তি, “নির্বাচনের সময় আঞ্চলিক সংবাদমাধ্যমের প্রভাব থাকে। অনেক সময় রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বিশেষ হাতিয়ার হিসেবেও ব্যবহৃত হয় ওই সংবাদ। তাই কমিশনের কাজে সুবিধা হওয়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত।” যদিও কমিশনের মানতে নারাজ বিরোধী দলগুলি। তাদের মতে, বারবার এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখিয়ে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। এবার সেই তালিকায় নাম যোগ হচ্ছে সংবাদমাধ্যমের। বিজেপির আমলে বিভিন্ন সময় আক্রান্ত হয়েছেন সাংবাদিকরা। গেরুয়া শাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলনের খবর করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন তাঁরা। মৃত্যু হয়েছে গৌরী লঙ্কেশের মতো নির্ভীক সাংবাদিকের। এবার নজরদারিতে বেসরকারি গোয়েন্দাদের প্রকাশ্যে কাজে লাগাতে চাইছে কেন্দ্র মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন।

 

Previous articleConstitution Day: আজ ভারতের ‘সংবিধান দিবস’, জানেন এর তাৎপর্য কতটা?
Next articleমধ্যপ্রদেশে দুর্গ-উধমপুর এক্সপ্রেসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, পুড়ে ছাই ৪টি কামরা