Ratna Chatterjee: শোভন কাননে রত্না জোড়াফুল হয়ে উঠতেই নোটিশ বৈশাখীর

ধাপে ধাপে বৈশাখী কাঁটার বাধা টপকাতে হয়েছে রত্নাকে

পুরুষতান্ত্রিক সমাজ নয়, চাই নারী ক্ষমতায়ন। রাজ্যের মহিলাদের সম্মান জানাতে একুশের বিধানসভা ভোটেই বেহালা পূর্ব থেকে রত্না চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী করে জিতিয়ে এনেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়ে প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পেটেন্ট সিট থেকে রেকর্ড মার্জিনে জিতেছিলেন রত্না।

কিন্তু বিধায়ক নয়, রত্নার লক্ষ্য কাউন্সিলর হওয়া। অন্য কোনও ওয়ার্ড নয়, স্বামীর ছেড়ে যাওয়া ১৩১ নম্বরের কাউন্সিলর হতে চান নষ্টালজিক রত্না। যে ওয়ার্ডের মানুষের জন্য জীবন বাজি লাগিয়ে কাজ করেছেন তিনি। মহামারি হোক কিংবা প্রাকৃতিক বিপর্যয়, ডেঙ্গু হোক কিংবা ম্যালেরিয়া, রাতেভিতে ছুটে গিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন রত্না। নির্বাচিত পুর প্রতিনিধি হয়েও এমন ভূমিকা নজিরবিহীন, বলছেন এলাকাবাসীরাই।

তাই ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি হওয়া ছিল দিনে-রাতে তাঁর স্বপ্ন। এখনও সেই স্বপ্নপূরণ হয়নি। তবে স্বপ্নপূরণ থেকে কয়েক ধাপ দূরে তিনি। শুক্রবার রাতেই পুরভোটে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে তৃণমূল। ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডে টিকিট পেয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়। জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা।

তবে উপরে ওঠার প্রতি ধাপে ধাপে বৈশাখী কাঁটার বাধা টপকাতে হয়েছে রত্নাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটল না। এককালে দাঁড়াতেন বৈশাখীর হাত ধরে রত্নাযে ছেড়ে যাওয়া স্বামী শোভন চট্টোপাধ্যায়। এবার তাই প্রার্থী ঘোষণার পরের দিনই রত্নাকে নোটিশ পাঠালেন শোভনের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে বলা হয়েছে, দ্রুত বেহালার পর্ণশ্রীর বাড়ি ছাড়তে হবে। গত সেপ্টেম্বরে জানা গিয়েছিল, শোভন চট্টোপাধ্যায় নিজের পর্ণশ্রীর বাড়ি বিক্রি করে দিয়েছেন বান্ধবীকে। বৈশাখী বলেছিলেন, বিভিন্ন মামলার আইনি খরচ চালাতে সমস্যা হচ্ছে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভনের। তাই বান্ধবীকে ১৩৯ বি মহারানী ইন্দিরা দেবী রোডের বাড়িটি বিক্রি করেছেন। তিনি সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছেন। স্ত্রী রত্না অবশ্য এসব মানতে চাননি। স্ত্রী রত্না দাবি করেন, কীভাবে ওই বাড়ি বিক্রি হল, তার প্রমাণ দিতে হবে। তাঁর ঘনিষ্ঠরা এও জানিয়েছিলেন, ওই বাড়ি শোভনের পৈতৃক। পৈতৃক সম্পত্তি একা কেউ বিক্রি করতে পারেন না।

প্রসঙ্গত, খুব অল্প বয়সে বাম আমলেও ১৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ধারাবাহিক ভাবে জিতে আসতেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। ২০১৫ নির্বাচনেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এই ওয়ার্ড থেকে জিতেই ঐতিহ্যবাহী কলকাতা পুরসভার মেয়র হয়েছিলেন শোভন। কিন্তু ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর পর্ণশ্রীর বাড়ি ছেড়ে গোলপার্কে উঠে যান শোভন। সঙ্গে থাকতে শুরু করেন বান্ধবী বৈশাখী। সেই থেকে প্রাক্তন তৃণমূল নেতা আর কখনও নিজের পর্ণশ্রীর বাড়িতে ফিরে যাননা। গত জুন মাসে শোভন জানিয়েছিলেন, তাঁর সমস্ত সম্পত্তি তিনি বান্ধবী বৈশাখীর নামে করে দিয়েছেন। সেই নিয়ে বিতর্কও হয়েছিল ঢের। এবার বৈশাখীর দাবি, পর্ণশ্রীর বাড়ি তিনি কিনে নিয়েছেন।

আরও পড়ুন- KMC 73: চেনা মাঠ হলেও প্রথম লড়াই, সিরিয়াস কাজরী

Previous articleISL Derby: ডার্বির রং সবুজ-মেরুন, এসসি ইস্টবেঙ্গলকে ৩-০ গোলে হারাল এটিকে মোহনবাগান
Next articleKMC 45: সন্তোষের বিরুদ্ধে পাঞ্জা লড়তে এবার তৃণমূলের তুরুপের তাস শক্তি