বাদল অধিবেশনের শাস্তি চলতি অধিবেশনে, বহিষ্কৃত ২ তৃণমূল সাংসদসহ ১২ জন

আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে এই পদক্ষেপ অগণতান্ত্রিক তীব্র নিন্দা তৃণমূলের

গতবার বাদল অধিবেশনে পেগাসাস কাণ্ডের জেরে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বিরোধী দলের সাংসদরা। সেই ঘটনার জেরে চলতি শীতকালীন অধিবেশনে ১২ জন সাংসদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হলো। গত অধিবেশনের ঘটনার জেরে এই অধিবেশনের প্রথম দিনই পদক্ষেপ নেওয়া হল। ২ তৃণমূল(TMC) সাংসদ দোলা সেন(Dola sen) এবং শান্তা ছেত্রীসহ রাজ্যসভার ১২ জন সাংসদকে গোটা অধিবেশনের জন্য বহিষ্কার করা হল।

বর্তমান অধিবেশনের অবশিষ্ট অংশের জন্য যে সকল সাংসদদের বহিষ্কার করা হয়েছে তারা হলেন, এলমারাম করিম (সিপিএম), ফুলো দেবী নেতাম, ছায়া ভার্মা, আর বোরা, রাজামণি প্যাটেল, সৈয়দ নাসির হুসেন, অখিলেশ প্রসাদ সিং (আইএনসি), বিনয় বিশ্বম (সিপিআই), দোলা সেন এবং শান্তা ছেত্রী (তৃণমূল কংগ্রেস), প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী এবং অনিল দেশাই (শিবসেনা)।

উল্লেখ্য, গত বার পেগাসাস কাণ্ডে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সংসদে বারবার সরব হতে দেখা দিয়েছে বিরোধী দলের সাংসদদের। রাজ্যসভায় বিক্ষোভের বিরোধী মুখ হিসেবে সামনের সারিতে উঠে এসেছিলেন তৃণমূলের দোলা সেন ও শান্তা ছেত্রীর মতো নেত্রীরা। তখন তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতেও দেখা যায় রাজ্যসভার স্পিকারকে। তবে সেই শাস্তি সেখানেই শেষ হয়নি, বাদল অধিবেশনের ঘটনার রেশ পড়ল শীতকালীন অধিবেশনে। বরখাস্ত করা হলো তৃণমূলের দুই সাংসদ সহ ১২ জনকে।

আরও পড়ুন:Udayan Guha: BSF কি ২০২৪-এর জন্য তৈরি হচ্ছে? প্রশ্ন তুললেন উদয়ন

এদিন তৃণমূলের দুই সাংসদকে বরখাস্তের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে তৃণমূল। ঘটনার প্রেক্ষিতে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, “যা হলো তা সম্পূর্ণরূপে অগণতান্ত্রিক। দেশের গণতন্ত্রের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হয়। এখানে তা হয়নি। যদি তাঁরা কোন অন্যায় করে থাকেন তার তদন্ত কমিশন বসানো হোক। কারো সঙ্গে আলোচনা না করে কোন সুযোগ না দিয়ে আমাদের সাংসদদের বরখাস্ত করা হয়েছে।” ইউপিএ জমানার উদাহরণ টেনে তিনি আরো বলেন, “তৎকালীন সময়ে এনডিএ-র তরফে বহুবার সংসদ অচল করা হয়েছে। তবে এমন অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপ করা হয়নি। গণতন্ত্রে বিরোধীদের অধিকার রয়েছে বিরোধিতা করার সংসদে বিরোধিতা না করলে কোথায় বিরোধিতা হবে। যদি তৃণমূল সাংসদের তরফে কোন রকম অন্যায় করা হয়ে থাকে তাহলে সেদিনের ঘটনার ছবি প্রকাশে আনা হোক কেন রাজ্যসভা টিভি বন্ধ করা হয়েছে।” পাশাপাশি বিজেপিকে তিনি এটাও স্মরণ করিয়ে দেন, “তৃণমূল সর্বদা সংসদে মানুষের হয়ে কথা বলে এবং সংসদের গরিমাকে মর্যাদা দেয়।”

 

Previous articleShrabanti: ক্যানিংয়ে তৃণমূলের মঞ্চে শ্রাবন্তী, মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা
Next articleBJP: প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির, মহিলা প্রার্থীতেই প্রাধান্য