TMC: “ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না”, সাংসদ সাসপেন্ডের ঘটনায় সরকারের প্রস্তাব ওড়ালেন সৌগত

আগের অধিবেশনের শাস্তি এই অধিবেশনে দেওয়া হচ্ছে এই ধরনের ঘটনা কখনই ঘটেনি সংসদে। আগে ছিল 'তানাশাহি' এখন হয়েছে 'মোদিশাহি'

১২ জন সংসদ সদস্যের সাসপেন্ডের ঘটনায় সরকারের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যদি সেদিনের ঘটনার জন্য সাসপেন্ডেড সাংসদরা দুঃখ প্রকাশ করেন তাহলে সাসপেনশন তোলার বিষয়টি ভেবে দেখবে সরকার(Govt)। তবে সরকারের প্রস্তাব বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে স্পষ্ট খারিজ করে দিলেন তৃণমূল(TMC) সাংসদ সৌগত রায়(Sougata Roy)। জানিয়ে দিলেন, ক্ষমা চাওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। বরং এই ধরনের অগণতান্ত্রিক পদ্ধতির জন্য সরকারের উচিত ক্ষমা চাওয়া।

বুধবার সাংসদ দোলা সেন ও শান্তা ছেত্রীর উপস্থিতিতে সাংবাদিক বৈঠক করে সৌগত রায় বলেন, “১৯৭৭ সাল থেকে আমি লোকসভায় আছি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় মন্ত্রীও হয়েছি। কিন্তু এমন সংসদীয় ব্যবস্থার অবনমন কখনো দেখিনি। লোকসভা ও রাজ্যসভা যে বিলগুলি কমিটিতে পাঠায় তা কমে যাচ্ছে। কোনরকম আলোচনা ছাড়া বিল পাস হয়ে যাচ্ছে।” পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘রাজ্যসভার যে ১২ জন সাংসদ সাসপেন্ড করা হোল এদের মধ্যে দুইজনকে ডেকে পাঠানো হয়েছে আলাদা করে। আমি তাদের ধন্যবাদ জানাবো যে তারা যাননি।’ একইসঙ্গে সরকারের ক্ষমা চাওয়ার প্রস্তাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দুঃখ প্রকাশ সরকারের করা উচিত। আপনারা দেখেছেন এর আগে গায়ের জোরে কৃষি বিল পাস করেছিল সরকার। এখন ভোটের মুখে তার জন্য ভুল করছে।’

আরও পড়ুন:CET: নয়া শিক্ষাবর্ষ থেকে CET পরীক্ষার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রভর্তির সিদ্ধান্ত

একইসঙ্গে সাসপেনশনের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আগামী পদক্ষেপ প্রসঙ্গে সৌগত রায় জানান, আন্দোলন যেভাবে চলছে সেভাবেই চলবে। সাসপেনশন না তোলা পর্যন্ত আগামী ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত গান্ধী মূর্তি পাদদেশে ধরনা দেবেন সাংসদরা। সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে তিনি আরো বলেন, সাংসদের বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণরূপে সংসদীয় রীতির বিরুদ্ধে। আগের অধিবেশনের শাস্তি এই অধিবেশনে দেওয়া হচ্ছে এই ধরনের ঘটনা কখনই ঘটেনি সংসদে। আগে ছিল ‘তানাশাহি’ এখন হয়েছে ‘মোদিশাহি’।

 

Previous articleSourav Ganguly: দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়ে কী বললেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট স‍ৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়?
Next articleShantanu Moitra: ৩০০০ কিমি সাইকেল চালিয়ে প্রয়াত বাবা, কোভিডে মৃতদের শ্রদ্ধার্ঘ্য শিল্পী শান্তনু মৈত্রের