এই সরকার চায় না সংসদ চলুক: বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন ডেরেক

সরকার গড়ার উদ্দেশ্যে ২০০৪ সালে ইউপিএ বৈঠক বসেছিল। মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ইউপিএ-র আর কোনো অস্তিত্ব ছিল না। এখনও নেই

“করোনার অজুহাত দেখিয়ে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না সংসদের ভেতর, সেন্সর হচ্ছে রাজ্যসভা টিভি(Rajyasabha tv)। সংসদে বিরোধীদের কোন প্রশ্ন-উত্তর প্রকাশ্যে আসছে না। এই সরকার চাইছে না সংসদ চলুক। তাহলে দেশের জনগণকে কোনও জবাবদিহি করতে হবে না।” বৃহস্পতিবার দিল্লি থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে এই ভাষাতেই বিজেপি(BJP) সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে উঠলেন তৃণমূল(TMC) সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন(Derek O’Brien)। পাশাপাশি সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেব ও শান্তা ছেত্রী।

এদিন বৈঠক থেকে ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, “রাজ্যসভার ১২ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই সংসদরা সরকারের কাছে প্রশ্ন তুলেছিল জবাব না পেয়ে বিক্ষোভ করেছিল। এখন সংসদের বাইরে তাদের ধরনা দিতে হচ্ছে।” পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, সংসদের ভিতর সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। রাজ্যসভা টিভি ও লোকসভা টিভি বিরোধীদের বক্তব্য দেখাচ্ছে না। শুধুমাত্র বিজেপি সাংসদ এবং স্পিকার ও ডেপুটি চেয়ারপার্সন এর দিকে ক্যামেরার ফোকাস রাখা হয়েছে। এভাবেই সংসদের অন্দরে বিরোধীদের সমস্ত কিছু ধামাচাপা দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। একইসঙ্গে বলেন, সরকারকে প্রশ্ন করার জায়গা সংসদ। জনগণের প্রশ্ন সেখানে তুলে ধরেন সাংসদরা। সরকার প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে না। সরকার চাইছে না সংসদ চলুক তাতে জনগণকে কোন প্রশ্নের জবাব দিতে হবে না।

আরও পড়ুন:Governor: পুরভোট নিয়ে জানতে ফের রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক রাজ্যপালের

এছাড়াও গতকাল মুম্বই থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ইউপিএ-র কোন অস্তিত্ব নেই। সে প্রসঙ্গে এদিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে ইউপিএ প্রসঙ্গে ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, “সরকার গড়ার উদ্দেশ্যে ২০০৪ সালে ইউপিএ বৈঠক বসেছিল। মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ইউপিএ-র আর কোনো অস্তিত্ব ছিল না। এখনও নেই।” একইসঙ্গে ডেরেক স্পষ্টভাবে দিন জানিয়ে দেন, দেশের যে সকল জায়গায় বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধী শক্তি দুর্বল তৃণমূল সেখানেই তাদের শক্তি প্রদর্শন করবে। উদাহরণ হিসেবে ত্রিপুরা, মেঘালয়ের কথা তুলে আনেন তিনি। পাশাপাশি বলেন তামিলনাড়ু মহারাষ্ট্র তেলেঙ্গানা অন্ধপ্রদেশের মত রাজ্যগুলিতে বিজেপির বিরুদ্ধে পূর্ণশক্তি দিয়েছে বিরোধী দলগুলি। ফলে তৃণমূল সেখানে প্রবেশ করবে না।

 

Previous articleGovernor: পুরভোট নিয়ে জানতে ফের রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক রাজ্যপালের
Next articlePrashant Kishor: শক্তিশালী বিরোধিতার জন্য কংগ্রেসের নেতৃত্বের প্রয়োজন নেই: বিস্ফোরক টুইট প্রশান্ত কিশোরের