Parliament:শাসক বিরোধী বিক্ষোভ, ধর্নায় উত্তাল সংসদ ভবন

শীতকালীন অধিবেশনের পঞ্চম দিনেও উত্তাল সংসদ। বিরোধী দলের ১২ জন সাসপেন্ডেড সাংসদের ধর্নায় কার্যত ‘চড়াও’ হওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। বিরোধীদের ধর্নায় পালটা বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে ধর্নাস্থলে হৈ হট্টগোল করতে শুরু করেন বিজেপি সাংসদেরা। স্বভাবতই সংসদের সামনে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে রীতিমত উত্তেজনা শুরু হয়। কেন্দ্রীয় শাসক দলের অভিযোগ, সংসদে গুণ্ডাগিরি করছে বিরোধীরা। রাজ্যসভায় এবিষয়ে প্রশ্ন তোলা হলেও চেয়ারম্যান তাতে কর্ণপাত করেননি।

আরও পড়ুন:গোয়াবাসীকে ‘Feast of Saint Francis Xavier’র শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর

পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী শুক্রবারও সংসদের অধিবেশন চলাকালীন গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসেন ১২ জন সাসপেন্ডেড বিরোধী সাংসদ। সেখানেই হাজির হন রাজ্যসভার সাংসদরা। শুধু বিক্ষোভ দেখানো নয়, বিরোধী শিবিরের আচরণ নিয়ে রীতিমতো স্লোগান দিতে থাকেন গেরুয়া শিবিরের সাংসদরা। তাঁদের হাতে ছিল ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’,‘গুন্ডাগিরি চলবে না’লেখা প্ল্যাকার্ড।  স্বাভাবিকভাবেই সরকার পক্ষের এই আচরণের প্রতিবাদ করেন বিরোধী সাংসদরা। শুরু হয় তীব্র বাদানুবাদ। চলে বাকবিতণ্ডাও। তৃণমূলের দুই ধর্নারত সাংসদ দোলা সেন এবং শান্তা ছেত্রী দাবি করেছেন, ”সংবিধান বাঁচাও যাত্রার নামে বিজেপি সাংসদরা আমাদের ধরনা ভণ্ডুল করার চেষ্টা করে। আমরা দেশের সংবিধান বাঁচাতে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলাম।”

যদিও রাজ্যসভায় বিষয়টি নিয়ে বিরোধীরা অভিযোগ করলে সেটিকে সেভাবে গুরুত্ব দেননি রাজ্যসভার চেয়্যারম্যান।  বিরোধীদের অভিযোগকে সেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের আসন থেকে জানানো হয়, সাংসদের গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখানো সবার অধিকার। তাই এ বিষয়ে তাঁদের বলার কিছুই নেই।


Previous articleSchool Fees: ফি না দিলেও পড়ুয়াদের লেখাপড়া-পরীক্ষায় বাধা দিতে পারবে না স্কুল: নির্দেশ হাইকোর্টের
Next articleKMC 101: উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে তৃণমূলের বাপ্পাদিত্যের পাশে এখন বামপন্থীরাও