KMC 101: উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে তৃণমূলের বাপ্পাদিত্যের পাশে এখন বামপন্থীরাও

রাস্তা-আলো মিষ্টি জল/মোড়ে মোড়ে বসল কল/নতুন ব্রিজ জলাধার/বাপ্পাদিত্য আরেকবার

একদা বাম (Leftfront) দুর্গ বলে পরিচিত যাদবপুরের (Jadavpur) ১০১ নম্বর ওয়ার্ড স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সিপিএমের (CPIM) দখলে ছিল। ২০১৫ সালে প্রথমবার এই আসনটি তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) দখলে আসে। প্রথমবার দলের টিকিট পেয়েই কাউন্সিলর নির্বাচিত হন বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত (Bapoaditya Dasgupta)। তারুণ্যে ভরপুর অল্পবয়সী বাপ্পাদিত্য মূলত ক্লাব সংগঠন ও সমাজসেবামূলক কাজেই নিজেকে ব্যস্ত রাখতেন। রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) হাত ধরেই তাঁর সক্রিয় রাজনীতির আঙিনায় প্রবেশ তাঁর।

বামেদের মিথ ভেঙে দেওয়া সেই বাপ্পাদিত্যকে এবারও কলকাতা পুরসভার (KMC) ১০১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী করেছে রাজ্যের শাসক দল। পুর প্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে গত ৫-৬ বছরে ওয়ার্ডের আমূল পরিবর্তন করে দিয়েছেন তিনি। রাস্তাঘাট, জল, আলো থেকে শুরু করে পার্ক কিংবা সৌন্দর্যায়ন, সবেতেই এলাকাবাসীর কাছে লেটার মার্কস পেয়েছেন বাপ্পাদিত্য। উন্নয়নে নজির গড়ে
বামেদের মিথ ভেঙে দেওয়া বাপ্পাদিত্যকেই আবার চাইছেন আলাকাবাদীরা। শুধু তাই নয়, বামপন্থীদেরও একটা বড় অংশ সমর্থন করছেন তৃণমূল প্রার্থীকে।

আমফান ঘূর্ণিঝড় হোক কিংবা মহামারি করোনা, হাত বাড়ালেই এলাকাবাসীরা বন্ধু হিসেবে বাপ্পাদিত্যকেই কাছে পেয়েছেন। ১০১ নম্বর ওয়ার্ডে টিকাকরণ থেকে শুরু করে মানুষের চিকিৎসা কিংবা সৎকারে দিনরাত এক করে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন বাপ্পাদিত্য। রাজ্য সরকারের সামাজিক প্রকল্পগুলো পৌছে দিয়েছেন মানুষের ঘরে ঘরে। দায়িত্ব পাওয়ার পর অবিরাম উন্নয়নের ধারা বজায় রেখে বাম জমানায় পিছিয়ে পড়া ১০১ নম্বর ওয়ার্ডকে মডেল হিসেবে তুলে ধরেছেন তিনি।

তবে বাপ্পাদিত্য মনে করেন, উন্নয়নের কোন সীমা হয় না। তাই মানুষের আশীর্বাদে ফের নির্বাচিত হলে এই ওয়ার্ডকে উন্নতির এভারেস্টে পৌঁছে দেবেন তিনি।

১০১ নম্বর ওয়ার্ডের তাঁর মূল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ কে? বাপ্পাদিত্যের উত্তর, বিজেপি (BJP) রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হলেও তাঁর ওয়ার্ড সহ যাদবপুরের ১০ টি কেন্দ্রে অন্তত গেরুয়া শিবির কোনও ফ্যাক্টর নয়। এখানে তৃণমূলের প্রতিপক্ষ বামেরাই। শেষ বিধানসভা নির্বাচনে ১০১ নম্বর ওয়ার্ডে দ্বিতীয় হয়েছে বামেরা, তৃতীয় বিজেপি। কংগ্রেসের কোনও অস্তিত্ব নেই।

তবে দল-মত নির্বিশেষে মানুষের মধ্যে মিশে যাওয়া এবং কাজের সুবাদে অনেক বামপন্থীর এখন কাছের মানুষ বাপ্পাদিত্য। তাই পুরভোটের আগে এলাকাবাসী বলছে, “রাস্তা-আলো মিষ্টি জল/মোড়ে মোড়ে বসল কল/নতুন ব্রিজ জলাধার/বাপ্পাদিত্য আরেকবার…!

 

Previous articleParliament:শাসক বিরোধী বিক্ষোভ, ধর্নায় উত্তাল সংসদ ভবন
Next articleRatan Malakar: অভিমান ভুলে মনোনয়ন প্রত্যাহার, তৃণমূল প্রার্থীর প্রচারে রতন মালাকার