গোয়ায় মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির(MGP) সঙ্গে প্রাক নির্বাচনী জোট করল তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)। সোমবার গোয়ার পানাজীতে দলীয় দফতরে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি ও সাংসদ লুই জিনহ ফালেরিও এবং গোয়ায় দলের ইনচার্জ সাংসদ মহুয়া মৈত্রর(Mahua Moitra) সঙ্গে মহারাষ্ট্র গোমন্তক পার্টির সভাপতি দীপক ধাবালিকারের বৈঠকের পর আনুষ্ঠানিক ভাবে দুই দলের মধ্যে জোটের ঘোষণা করা হয়।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাংসদ লুই ফালেরিও বলেন, গোয়ার মানুষ পরিবর্তন চাইছেন। দ্বিতীয় বারের জন্য গোয়ায় স্বাধীনতার লড়াই করছি আমরা। দূর্নীতি, বেকারত্ব বিজেপি সরকারের আমলে গোয়া তার অতীত ঐতিহ্যকে হারিয়েছে। অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস একটা খোলা ডাক দিয়েছে নতুন করে গোয়াকে গড়ে তোলার। আর সেই ডাকে সাড়া দিয়ে এমজিপি তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে একসঙ্গে পথ চলার অঙ্গীকার করেছে। আমরা তাদের স্বাগত জানাই। এমজিপি বুঝছে যে বিজেপির বিরুদ্ধে একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসই টক্কর নিতে পারে তাই তারাও এসেছে।
সাংসদ মহুয়া মৈত্র বলেন, মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টির সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের একসঙ্গে পথ চলবে। আগামী বছর গোয়ার বিধানসভার নির্বাচনও আমরা একসঙ্গে লড়ব। ১৩ ডিসেম্বর গোয়া সফরে যাচ্ছেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। তখনই এমজিপির সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস কিভাবে একসঙ্গে পথ চলবে ও বিধানসভা নির্বাচনে আসন সমঝোতা ও বণ্টনের ফর্মুলা কি হবে আলোচনার মধ্যে দিয়ে তা শীর্ষ নেতৃত্ব ঠিক করবেন।
আরও পড়ুন:Birbhum: ট্রেনে মালদহের পথে মুখ্যমন্ত্রী, বোলপুরে চপ-মুড়ি নিয়ে হাজির অনুব্রত
গোয়া তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে কিরন কান্ডোলকার বলেন, এখানে তৃণমূল কংগ্রেসের লক্ষ্য একটাই গোয়ায় বিজেপিকে হারানো। কংগ্রেস সুযোগ পেয়েও তা করেনি।আগামী দিনে গোয়ায় বিজেপি- কংগ্রেস বলে কিছু থাকবে না। বিজেপি এতদিন ক্ষমতায় থাকলেও গোয়ায় কোনও কাজ করেনি। এবার তৃণমূল কংগ্রেস ও এমজিপি গেয়ার উন্নয়নের জন্য একসঙ্গে কাজ করবে।
উল্লেখ্য, বছর ঘুরলেই গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এই জোট নিসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। ২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটে মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্ত্রক পার্টির ঝুলিতে এসেছিল ৩টি আসন। সেই সময় গোয়ায় জোট সরকার গড়তে বিজেপিকে সমর্থন করেছিল তারা। এরপর সময় পেরিয়েছে। এমজিপির দুজন বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। ২০১৯ সালে বিজেপির সঙ্গও ছেড়েছে তারা। এবার বিজেপির ‘চরম বিরোধী’ তৃণমূলের হাত ধরল এমজিপির।