Thursday, November 13, 2025

KMC 124: শোভনের সহযোগিতা ছাড়াই ওয়ার্ডের আমূল পরিবর্তন করেছেন রাজীব

Date:

বাম জমানায় কার্যত পিছিয়ে পড়া একটি ওয়ার্ডকে মাত্র ৫ বছর হাতে পেয়েই আমূল পরিবর্তন করে দিয়েছেন ১২৪ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের (TMC) বিদায়ী কাউন্সিলর রাজীব দাস (Rajib Das). বেহালা পূর্বের এই ১২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ২০১৫ সালে যখন তিনি প্রথমবার নির্বাচিত হন, তার আগে পর্যন্ত এই এলাকা ছিল নামেই কলকাতা। উন্নয়নের লেশমাত্র ছিলনা। এলাকার বিভিন্ন জায়গায় তখনও ছিল কাঁচা রাস্তা, খালাখন্দ। ছিল না পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা কিংবা নিকাশি। অল্পতেই জল জমে যেত। সেই জায়গা থেকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে কাজ করে অনেকটাই ভোল বদলে দিয়েছেন রাজীব। এবারও ১২৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে শাসক দলের প্রার্থী রাজীব দাস।
রাজীব দায়িত্ব নেওয়ার পরই সর্বাগ্রে মানুষের বাড়ি পরিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। গত ৫ বছরে সেই কাজ প্রায় ১০০% সম্পন্ন। নিকাশি ব্যবস্থার অনেকটাই উন্নত করা গিয়েছে বলে দাবি রাজীবের। ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ ১০০% সম্পন্ন। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৭০ শতাংশেরও বেশি মানুষ। পিছিয়ে থাকা বঞ্চিত ওয়ার্ড এখন আলো ঝলমলে। রাস্তাঘাট আগের থেকে উন্নত। স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নিয়মিত ডাক্তার বসেন।
তবে রাজীবের আক্ষেপ, বেহালা পূর্বের প্রাক্তন বিধায়ক শোভন চট্টোপাধ্যায় যদি পাঁচ বছর এলাকায় থাকতেন, তাহলে ১২৪ ওয়ার্ডের উন্নয়নের কাজ করতে আরও সুবিধা হতো। একটি সময়ে বিধায়ক, মন্ত্রী, মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়ার পরও এই কয়েক বছরে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে কাছে পায়নি এলাকার মানুষ। বছরের পর বছর অভিভাবকহীন করা বিধায়কের অনুপস্থিতিতে সাধারণ মানুষের প্রশ্নের মুখে অনেক সময় পড়তে হয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মী ও কাউন্সিলরকে। কিন্তু শোভনের অনুপস্থিতে এলাকার মানুষের কোনও পরিষেবার ব্যাঘাত ঘটছে দেননি রাজীব দাস। দাঁতে দাঁত চেপে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করেছেন। মানবসেবায় লড়াই চালিয়েছেন। মহামারী ও আমফান বিপর্যয়ের মধ্যেও ৩৬৫ দিন ২৪ ঘন্টা মানুষের পাশে থেকেছেন ১২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভূমিপুত্র রাজীব।
শোভনের শুন্যস্থান পূরণের জন্য পাশের বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক তথা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় অনেক সাহায্য করেছেন বলেই জানিয়েছেন রাজীব। আর বেহালা পূর্বের নতুন বিধায়িকা রত্না চট্টোপাধ্যায় আসার পর থেকে বিধায়কের অভাব বা অভিভাবকের অভাব আর অনুভূত করছেন না এলাকাবাসী।
রাজীবের কথায়, “এবার আমরা সত্যিই একজন যোগ্য বিধায়ক পেয়েছি। রত্নাদি বিধায়ক কম, কাউন্সিলর বেশি। তিনি কাউন্সিলরদের মতো রাস্তায় নেমে কাজ করেন। সকলের সঙ্গে মিশে তাঁদের অভাব-অভিযোগ শুনে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করেন। গত কয়েক মাসে তাঁকে বিধায়ক হিসেবে পেয়ে আমাদের কাজে অনেকটাই সুবিধা হয়েছে। আমরা গর্বিত।”
অন্যদিকে, ১২৪ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ তাঁদের কাজের ছেলে কাজের ছেলে রাজীব ফের ভোটে দাঁড়ানোয় দারুণ খুশি। প্রচারে রাজীব যেখানেই যাচ্ছেন দু’হাত তুলে মানুষ তাঁকে আশীর্বাদ করছেন। ছবিটি স্পষ্ট, ১২৪ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ ফের লেটার মার্কস দিয়ে রাজীবকে ভোট পরীক্ষায় পাস করিয়ে আনার প্রহর গুনছেন।

Related articles

“রিচার নামে স্টেডিয়াম ইতিহাস হয়ে থাকবে”, উচ্ছ্বসিত ঝুলন

শিলিগুড়িতে রিচা ঘোষের(Richa Ghosh)  নামে স্টেডিয়াম হচ্ছে শিলিগুড়িতে। কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা করেছেন বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটারের নামে...

‘হাঁটি হাঁটি পা পা’-র ট্রেলার-পোস্টার লঞ্চে ‘বাবা-মেয়ে’র রসায়নে চিরঞ্জিৎ-রুক্মিণী

অর্ণব মিদ্যার ছবি 'হাঁটি হাঁটি পা পা'-র ট্রেলার ও পোস্টার লঞ্চের জমজমাট অনুষ্ঠান হল ফ্লোটেলে। বৃদ্ধ বাবা ও...

লক্ষ্য ২০২৭! ২৫ নভেম্বর শুরু ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ

ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হচ্ছে আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে। রাজ্যের সেচ ও জলপথ মন্ত্রী মানস...

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কে স্বচ্ছতা আনতে চালু অনলাইন অডিট ব্যবস্থা

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা আনতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। এ বার থেকে সমস্ত সমবায় সমিতি...
Exit mobile version