Wednesday, December 3, 2025

KMC 77: প্রচারে ভিড় বাড়াতে নগদ টাকা চাইছে বিজেপি কর্মীরা, প্রার্থী বলছেন “হাত খরচ”

Date:

Share post:

প্রার্থীর সঙ্গে প্রচারে বেরোলে, দেয়াল লিখলে, পোস্টার-ব্যানার-ফেস্টুন লাগলে কর্মী পিছু ৫০০ টাকা লাগবে। ভোটের সময় বেকার খাটা যাবে না। শুধু জল-খাবার-টিফিনে হবে না। কর্মী পিছু দিনে নগদ ৫০০ টাকা দিতে হবে। কলকাতা পুরসভার (KMC) ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি (BJP) প্রার্থী গোপা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Gopa Banerjee) এমনই শর্ত দিয়েছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। একথা নিজের মুখেই স্বীকার করে নিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী।

আরও পড়ুন:Chandidas Mal: লোপামুদ্রা- চন্দ্রাবলীদের শিক্ষাগুরু, আগমনী ও টপ্পা গানের প্রখ্যাত শিল্পী চণ্ডিদাস মাল প্রয়াত

কিন্তু দলের হয়ে প্রচারে গেলে কেন নগদ টাকা চাওয়া হচ্ছে? এ প্রশ্নের উত্তরে গোপা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ভোট মানেই রোজগার ও উপার্জনের একটা জায়গা। এই সুযোগে প্রত্যেকে চায় কিছু কামিয়ে নিতে। ওদের আর দোষ কোথায়? পার্টি থেকে তো আর কাউকে মাস মাইনে দেওয়া হয় না, তাই ভোটের সময় কর্মী-সমর্থকরা কিছু আশা করে। হাত খরচ হিসাবে তারা এই টাকাটা চাইছে।”

এরপর আরও বিস্ফোরক মন্তব্য করেন ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী গোপা। তাঁর কথায় “আমার সঙ্গে খুব অল্প কয়েকজন কর্মী-সমর্থক রয়েছেন। তাই ওরা যাদের আনছে, তাদের জন্য দিনে মাথাপিছু ৫০০ টাকা করে নগদ চাইছে। যদিও আমি এখনও পর্যন্ত কাউকে কোনও টাকা দিইনি। আমার কাছে টাকা নেই। আর বাইরে থেকে লোক আনলে তাদেরকে তো টাকা দিতেই হবে। তবে আমি টাকা দেবো কিনা, সেটা ভেবে দেখব।”

এখানেই শেষ নয়, গোপা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বীকার করেছেন, বিজেপির এমন কিছু লোক তাঁর কাছে নগদ টাকা চাইছেন, যাঁরা এই ওয়ার্ডের বাসিন্দা। খুব স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে, ভোটের আগে এভাবে কী ওয়ার্ডের ভোটারদের নগদ টাকা বিলি করা যায়? নগদ টাকা দেওয়া কিন্তু নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের সামিল।

spot_img

Related articles

জেলা সফরে বহরমপুরে মুখ্যমন্ত্রী: বুধের সভার জন্য প্রস্তুত মালদহের গাজোল

মঙ্গলবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক শেষেই জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী। পৌঁছে যান মুর্শিদাবাদে বহরমপুরে। বুধবার সকালে  তিনি হেলিকপ্টারে করে উড়ে...

নিভৃতে… খাদ্যহীন! যার জন্য দেশে সূ্ত্রপাত ‘নারী আন্দোলনে’র, সেই ‘মথুরা’ই দুরবস্থায় মহারাষ্ট্রে

সেই সালটা ১৯৭২। এখন ২০২৫। মাঝে পেরিয়েছে ৫৩ বছর। এর মধ্যে তাঁকে ভুলেই গিয়েছে গোটা দেশ। হঠাৎ মনে...

বুধেই ভাগ্য নির্ধারণ! বাংলাদেশে বসে ফেরার অপেক্ষায় অন্তঃসত্ত্বা সোনালি

বাংলাদেশে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। ফলে জেলমুক্তি ঘটেছে। কিন্তু নিজের দেশে, নিজের ঘরে ফেরা কবে? আজও জানেন না বীরভূমের...

প্রশাসনিক গতি ফেরাতে যাদবপুরে দুই মাসের অস্থায়ী রেজিস্ট্রার সেলিম বক্স মন্ডল

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজকর্ম দীর্ঘদিন ধরে রেজিস্ট্রার শূন্য থাকার কারণে বিঘ্নিত হচ্ছিল। কর্মসমিতির বৈঠক হলেও রেজিস্ট্রার অনুপস্থিত থাকায়...