ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বন্ধ হোক চিনা আগ্রাসন, ফের সরব আমেরিকা

খোলা সমুদ্র অঞ্চলকে নিজেদের বলে চিনের যে দাবি তা এবার বন্ধ হওয়া উচিত।

লাগাতার ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের(Chaina) আগ্রাসনের জন্য জেরবার প্রতিবেশী দেশগুলি। এই ঘটনায় আগেও আন্তর্জাতিক মঞ্চে সরব হতে দেখা গেছে বহু দেশকে। এই প্রসঙ্গে ফের একবার চিনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়ে উঠতে দেখা গেল আমেরিকাকে(America)। সম্প্রতি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফরে এসে আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন(Antonym Blinkin) জানালেন, খোলা সমুদ্র অঞ্চলকে নিজেদের বলে চিনের যে দাবি তা এবার বন্ধ হওয়া উচিত।

ভারত- প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিয়ে চিন-আমেরিকার বাকযুদ্ধ নতুন নয়, ট্রাম্প আমলে তা চরম আকার নিয়েছিল। বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর সে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও বন্ধু রাষ্ট্রগুলিকে নিয়ে চিন বিরোধী জোট মজবুত করতে তৈরি হয়েছে আমেরিকা। সম্প্রতি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া সফরে এসেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব। এই সফরে এসেই চিনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে ব্লিঙ্কেন বলেন, “ওঁরা(চিন) খোলা সমুদ্রকে নিজেদের বলে দাবি করে। রাষ্ট্র পরিচালিত সংস্থার মাধ্যমে ভরতুকি দিয়ে খোলা বাজারকে নষ্ট করা হচ্ছে।” পাশাপাশি চিনের এহেন আচরণ বন্ধ করা উচিত বলে জানিয়ে ব্লিঙ্কেন বলেন, “সব দেশে চিনের এই আচরণের বদল চায়। আমরাও চাই ওরা নিজেদের বদলে ফেলুক।”

আরও পড়ুন:৫ বছরে বিদেশে কত কালোটাকা গচ্ছিত হয়েছে? জানেই না মোদি সরকার

উল্লেখ্য, ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিয়ে চিন আমেরিকার এই দ্বন্দ্ব নতুন নয়। বিগত কয়েক বছরে দক্ষিণ চিন সাগরের রীতিমতো সামরিক পরিকাঠামো করে তুলেছে লালফৌজ। বরাবর চাপে রাখার চেষ্টা হয়েছে প্রতিবেশী অন্যান্য দেশ গুলিকে। চিন দাবি করে গোটা সামুদ্রিক অঞ্চল তাদের। এর জেরেই চিনের সঙ্গে সংঘাত শুরু হয়েছে ফিলিপিন্স সহ অন্যান্য দেশ গুলির। এহেন পরিস্থিতিতে চিনকে চাপে রাখতে যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী পাঠিয়ে শক্তিপ্রদর্শন করছে আমেরিকা।

Previous article৫ বছরে বিদেশে কত কালোটাকা গচ্ছিত হয়েছে? জানেই না মোদি সরকার
Next articleKMC: ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রচারে সিপিএম, কংগ্রেস এবং বিজেপিকে কার্যত ধুয়ে দিলেন ঋতব্রত