বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার- ফের দলীয় নেতা প্রার্থীদের কড়া বার্তা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay)। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন কারও জন্য যদি দলের ভাবমূর্তি বিন্দুমাত্র কলুষিত হয়, তাহলে তাঁকে বহিষ্কার করা হবে। এদিন কলকাতা পুরভোটের দক্ষিণ কলকাতার (South Kolkata) প্রার্থীদের সমর্থনে বালিগঞ্জ থেকে কালীঘাট পর্যন্ত মিছিল করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। রাজপথে জনজোয়ার।

রোড শো-র শেষে কালীঘাটে (Kalighat) হুড খোলা গাড়িতে দাঁড়িয়ে অভিষেক স্পষ্ট নির্দেশ দেন, ”তৃণমূলে দাদাগিরি, গা জোয়ারি করা চলবে না। কারও অপকর্মের জন্য দল বিন্দুমাত্র কলুষিত হলে তাকে বহিষ্কার করা হবে। সে যত বড়ই নেতার ছত্রছায়ায় থাকুক। আমাদের সচেতন থাকতে হবে।” একই সঙ্গে অভিষেক বলেন, “আইন শৃঙ্খলার অবনতি হলে পুলিশকে জানাবেন।”

কলকাতা পুরভোটের প্রার্থী ঘোষণার পরই দলের বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বার্তা দিয়েছিলেন, ধমকে-চমকে-গায়ের জোরে নয়, গণতান্ত্রিক উপায়ে মানুষের ভোটে জিতে আসতে হবে। বৃহস্পতিবার, উত্তর কলকাতায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে দলের নেতা-কর্মী-সমর্থক-প্রার্থীদের এই কথা মনে করান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। দক্ষিণের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের একই নির্দেশ দেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

একদিন কালীঘাটে দাঁড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সামনে কালীমায়ের মন্দির। আর পিছনে সারা ভারতের গণতন্ত্রের রক্ষাকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Bandopadhyay) বাড়ি। “কালীঘাটে টালির ছাদের নীচে যে মহিলা থাকেন, সারা দেশ এখন তাঁর দিকে তাকিয়ে।” অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাতে সবাইকে সজাগ থাকার নির্দেশ দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। বলেন, ‘‘ভোটের দিন নাটক করতে পারে বিজেপি, সিপিএম। সবাই সতর্ক হয়ে ভোট দেবেন। নিজের ভোট নিজে দেবেন।’’

বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করে অভিষেকের মন্তব্য, “ভোটের আগে যাঁরা বড় বড় কথা বলেছিল, আট মাস পর তাঁদের টিকি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বিজেপি-র বাস ৭০-এ আটকে গিয়েছে। তৃণমূল খেলাতেও আছে, মেলাতেও আছে, আন্দোলন-উন্নয়নেও আছে।”

আরও পড়ুন- KMC Election: পুরভোটের বাহিনী মামলা, শনিবারে জানাচ্ছে হাইকোর্ট
