বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি অবশেষে মুখ খুললেন। স্পষ্টভাবে অস্বীকার করেছেন যে তিনি কোনও অতিরিক্ত মন্তব্য করবেন না এবং বিষয়টি বোর্ড মোকাবিলা করবে। তার সাফ কথা, “আমার কোনও মন্তব্য নেই, আমরা এটিকে যথাযথভাবে মোকাবিলা করব, এটি বিসিসিআইয়ের উপর ছেড়ে দিন”।

সরাসরি সৌরভের কাছে এই বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা চাইলেন গাভাসকর। গাভাসকার বলছেন, কীভাবে দুটো আলাদা মতামত বেরিয়ে এল, তা স্পষ্ট করে জানাক সৌরভ। নেতৃত্ব বদল নিয়ে সৌরভের বক্তব্য ছিল টি-২০ অধিনাকত্ব ছাড়তে বারণ করা হয়েছিল কোহলিকে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের আগে বিস্ফোরক প্রেস কনফারেন্সে কোহলি জানিয়ে দেন, এমন কোনও অনুরোধ তাঁকে বোর্ড করেনি।

আরও পড়ুন- KMC Election: অনুপ্রেরণা মমতা: ‘দামি’ চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে রানা-বসুন্ধরা, প্রার্থী পুরভোটে
এরপরেই সুনীল গাভাসকার বলেছেন, “কোহলির মন্তব্য মোটেই পুরো বিসিসিআইকে লক্ষ্য করে নয়। আমার মনে হয় সংশ্লিস্ট সেই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করা হোক- তিনি কোহলিকে কোনও বার্তা দিয়েছিলেন কিনা। এটাই এই মুহূর্তে একমাত্র করণীয়। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বর্তমানে বোর্ড প্রেসিডেন্ট। ওঁকেই জিজ্ঞাসা করা উচিত এত অস্বচ্ছতা কেন! ইন্ডিয়ান ক্যাপ্টেন যা বলেছে এরপরে ওঁকেই এই বিষয়ে প্রশ্ন করা উচিত।

চলতি মাসের শুরুতে কোহলিকে ওয়ানডের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরেই বোর্ডের সঙ্গে বিরাট-দ্বন্দ্ব সামনে চলে আসে। কোহলি বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দল নির্বাচনের দেড় ঘন্টা আগে কোহলিকে নেতৃত্ব ত্যাগের বিষয়টি জানানো হয় নির্বাচক প্রধানের তরফ থেকে। তবে নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান চেতন শর্মাকে ক্লিনচিট দিচ্ছেন সানি।
ভবিষ্যতে যাতে এরকম যোগাযোগহীনতার পরিস্থিতি তৈরি না হয়, তার জন্য এখন থেকেই বোর্ডকে উদ্যোগী হতে বলেছেন গাভাসকার। জানিয়েছেন, “জল্পনা যাতে না ছড়ায়, সেই জন্য সর্বদা বোর্ডের সঙ্গে ক্যাপ্টেনের যোগাযোগ থাকা উচিত।
