KMC 49: বুড়িমার যোগ্য উত্তরসূরি সাংবাদিকতার ছাত্রী মোনালিসা-ই বাজি তৃণমূলের

রাজনৈতিক পরিবারের মেয়ে মোনালিসা কলকাতার অক্সিলিয়াম কনভেন্ট স্কুল থেকে সাংবাদিকতার পাঠ নিয়েছেন।

দাদু স্বর্গীয় বিনয় বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন পৌরপিতা ও বিধায়ক। বাবা বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন মানবদরদী জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। আর পিসি ছিলেন কার্যত কিংবদন্তি কাউন্সিলর অপরাজিতা দাশগুপ্ত। যিনি ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড সহ তৎসংলগ্ন এলাকায় বুড়িমা নামেই পরিচিত ছিলেন। সেই পরিবারের যোগ্য উত্তরসূরি মোনালিসা বন্দ্যোপাধ্যায় (Monalisa Banerjee) এবার ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের প্রার্থী। এবার ঘাসফুল শিবির যে কয়েকজন নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধিকে প্রার্থী করেছেন, তার মধ্যে মোনালিসা উজ্জ্বলতম মুখ।

আরও পড়ুন:KMC Election: অনুপ্রেরণা মমতা: ‘দামি’ চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে রানা-বসুন্ধরা, প্রার্থী পুরভোটে

রাজনৈতিক পরিবারের মেয়ে মোনালিসা কলকাতার অক্সিলিয়াম কনভেন্ট স্কুল থেকে সাংবাদিকতার পাঠ নিয়েছেন। এরপর অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ ইউনিভার্সিটি থেকে চলচ্চিত্র পরিচালনা ও প্রযোজনায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর দেশে ফিরে তিনি একটি নামী বিজ্ঞাপন সংস্থার কাজ নিয়ে মুম্বইতে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করেন। এর মাঝেই বেশ কয়েকটি শর্ট ফিল্ম বানিয়ে ছিলেন মোনালিসা, যা অস্কার বিজয়ী পরিচালকদের দ্বারা প্রশংসিত হয়েছে।

তবে আদ্যপ্রান্ত রাজনৈতিক পরিবারের মেয়ে মোনালিসার রক্তে রাজনীতি। তাই মানবসেবার তাগিদে পরিবারের অন্যদের মতো তাঁরও সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ। বাবার দেখানো পথেই বুথস্তরে রাজনীতিতে হাতেখড়ি তাঁর। কোনও জনপ্রতিনিধি না হয়েও এলাকায় রক্তদান শিবির থেকে শুরু করে গরিবদের জন্য বস্ত্রদান, পথশিশুদের জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ কিংবা করোনা মহামারি থেকে আমফান বিধ্বস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন মোনালিসা। করোনা মহামারির সময় দুঃস্থ অসহায় মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ঔষধ এবং খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন বুড়িমার যোগ্য উত্তরসূরি মোনালিসা। তাই বুড়িমার প্রয়াণের পর ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কলকাতা পুরভোটে তৃণমূলের অটোমেটিক চয়েজ মোনালিসা।

মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে পুর প্রতিনিধি নির্বাচিত হলে কী কাজ করবেন মোনালিসা? তাঁর ছোট্ট উত্তর, “আমার পিসিমা ওয়ার্ডকে সাজিয়ে দিয়েছেন। সেই অর্থে কোনও কাজই বাকি নেই। তবে উন্নয়নের তো সীমারেখা হয় না, তাই আগামিদিনে আমি নির্বাচিত হলে ওয়ার্ডের মানুষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই কর্মসূচি নির্ধারণ করব। দুয়ারে দুয়ারে পরিষেবা পৌঁছে দেবো। ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডকে মডেল হিসেবে তুলে ধরব কলকাতা শহরের বুকে। আর যেহেতু এই ওয়ার্ড শিয়ালদহ স্টেশন সংলগ্ন, তাই জেলার মানুষও যাতে এই ওয়ার্ড দেখে উৎসাহিত হতে পারেন সেই চেষ্টায় থাকবে।”

Previous articleবিরাট ইস্যুতে মুখ খুললেন সৌরভ, বোর্ডকে এমন পরিস্থিতি এড়ানো পরামর্শ গাভাসকরের
Next articleSourav-Virat: বোর্ডের হাতে কল রেকর্ডিং এবং ভিডিও ফুটেজ, বিরাটের বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে জল্পনা