কলকাতার পুরভোটে ফের ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটালেন বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ। প্রথমে বহিরাগতদের ঢুকিয়ে জেএন রায় হাসপাতালের ছাদে বিরিয়ানি রান্না করতে গিয়ে ধরা পড়লেন। এরপর আরও অনৈতিক কাজ। রোগীদের জন্য বরাদ্দ অ্যাম্বুল্যান্সে করে বিরিয়ানি পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়লেন। এবারও ধরলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জেএন রায় হাসপাতালকে সজল ঘোষ বিজেপির পার্টি অফিস বানিয়েছেন। ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের সেন্টিমেন্ট এই পুরনো হাসপাতালে যেভাবে অনৈতিক কাজ চলছে, তাতে স্থানীয় মানুষের ধৈর্যের বাঁধ যে কোনওদিন ভেঙে পড়তে পারে।

পুর-ভোটকে কেন্দ্র করে জেএন রায় হাসপাতালকে শনিবার রাত থেকেই বিজেপির আখড়া বানিয়ে ছেড়েছেন সজল। রাতে বহিরাগতরা ঢুকে মাংস নিয়ে মোচ্ছব করেন বলে হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ জানান। এরপর সকালে হাসপাতালের ছাদ দখল করে বিরিয়ানি রান্না করতে গিয়ে ধরা পড়েন বহিরাগতরা। তার কয়েক ঘন্টার মধ্যে সেই রান্না করা বিরিয়ানি অ্যাম্বুল্যান্সে করে পাঠাতে গিয়ে চালকসহ ধরা পড়ে গেল। সততা-নৈতিকতার ধ্বজাধারী বিজেপি প্রার্থীর মুখোশ খুলে দিলেন ২৮ নম্বরের বাসিন্দারাই।

আরও পড়ুন-Roopa Ganguly: আমি রাজ্য বিজেপির কেউ নই: পুরভোটের দিনে বিস্ফোরক রূপা

এলাকাবাসীদের প্রশ্ন…
এক, অ্যাম্বুল্যান্স রোগীদের জন্য। কোন কাণ্ডজ্ঞানে খাবার নিয়ে যাওয়া হয় অ্যাম্বুল্যান্সে?
দুই, অ্যাম্বুল্যান্স মানেই জীবানু থাকাটা স্বাভাবিক। সেই জীবানুবাহিত অ্যাম্বুল্যান্সে বিরিয়ানি? সেটা মানুষ খাবেন? হাসপাতাল পরিচালক হয়ে সজল এই অনৈতিক কাজটি করলেন কী করে?

৩. কোভিড সংক্রমণের সময়ে হাসপাতালে রান্না? ঘোর অনৈতিক, বেআইনি, অস্বাস্থ্যকর কাজ।

জেএন রায় হাসপাতালকে কেন্দ্র করে ২৮ নম্বরের বাসিন্দারা ক্ষোভে ফুঁসছেন।
