Thursday, August 28, 2025

সজলের জয় : সুদীপ-নয়নার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুটছে উত্তর কলকাতা তৃণমূল

Date:

৫০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষের (Sajal Ghosh) জয় নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) অন্দরে। কলকাতা (Kolkata) জুড়ে যেখানে তৃণমূল ঝড়ে বিরোধীরা কুপোকাৎ, সেখানে সজল জেতেন কী করে? পরাজয়ের দায়িত্ব নিতে হবে এলাকার বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় (Nayna Banerjee) এবং সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Sudip Banerjee)।

সজল (Sajal Ghosh) এলাকার পরিচিত মুখ এবং নানা সামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু সজলের রাজনীতিতে বারে বারে বাধা তৈরি করেছেন সুদীপ-নয়না। একটা সময়ে সেই ক্ষোভেই কার্যত দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন সজল। তাঁকে দলের রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছিলেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা ফলপ্রসূ হয়নি। এরপর একটি মামলাকে কেন্দ্র করে সজলের বাড়ির দরজা ভাঙে পুলিশ। প্রকাশ্যেই এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছিলেন কুণাল। যদিও নির্বাচনী প্রচারে সজলের রাজনৈতিক অবস্থানের তীব্র বিরোধিতা করে কুণাল তাঁকে ভোট না দেওয়ার আবেদনও জানিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন-Abhishek Banerjee: ঘৃণা-হিংসার রাজনীতির স্থান নেই বাংলায়: বিজেপির নাম না করে মোক্ষম খোঁচা অভিষেকের

কিন্তু সেই সজল ভোটে জিতে তৃণমূল মহলেই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। উত্তর কলকাতার তৃণমূল কংগ্রেসের এ নিয়ে ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে। ক্ষোভ লুকিয়ে রাখেননি জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক তাপস রায়ও (Tapas Roy)। উত্তর কলকাতার নেতা-কর্মীদের দাবি, কলকাতার বুকে জেতা আসন হারানোর দায় নিতে হবে বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দ্বিতীয়ত, উত্তর কলকাতার তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়্যারম্যান তথা সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। জানাতে হবে, কী কারণে দলের জেতা প্রার্থীকে এই তৃণমূল ঝড়ের মাঝেও হারতে হল। তাঁদের সাফ কথা, সজল দলেই থাকতেন। সজল পর্ব তৈরি করেছেন সুদীপ নিজে। আর তাঁর জন্যই দলের মুখ পুড়েছে ৫০ নম্বরে।

সজলের জয়কে কেন্দ্র করে সুদীপ নয়নার বিরুদ্ধে তোপ দাগা শুরু হয়েছে অন্দরে। যে কোনও সময় তা অগ্নিস্ফূলিঙ্গের আকার নিতে পারে।

Related articles

সাত লুকের ‘বহুরূপ’ সোহমের, চ্যালেঞ্জ নিয়ে চমকে দিলেন অভিনেতা

যা কখনও হয়নি তা এখন হবে, এবার হবে। সেলিব্রেটিদের রিল - রিয়েলের আলাদা রূপ আর লুক নিয়ে কম...

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...
Exit mobile version