Rapankar V/S Aniket: রূপঙ্কর-অনিকেত তরজা: রূপঙ্করের ‘আত্মহনন’ মন্তব্যের জবাবে ধুয়ে দিলেন অনিকেত

অনুষ্ঠান বন্ধে রূপঙ্করের গলায় হতাশা। পাল্টা জীবনের জয়গান গাইলেন অনিকেত।

ফের লাফিয়ে বাড়ছে অতিমারির সংক্রমণ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বন্ধ মঞ্চের অনুষ্ঠান; চলতি কথায় যাকে বলে মাচা। ফলে, একের পর এক অনুষ্ঠান বাতিল হচ্ছে। আর এই নিয়ে তিতিবিরক্ত গায়ক রূপঙ্কর বাগচী (Rupankar Bagchi)। তাঁর মতে, এই অবস্থা চলতে থাকলে অনেক শিল্পীকেই হয়তো আত্মহননের পথ বেছে নিতে হবে। তার এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করলেন চিত্রপরিচালক অনিকেত চট্টোপাধ্যায় (Aniket Chatterjee)। তাঁর মতে, এই অসময় হতাশার কথা নয়, মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মনোবল বাড়ানোই প্রকৃত শিল্পীর কাজ।

এই তরজার সূত্রপাত রূপঙ্করের একটি বক্তব্য। তাঁর অভিযোগ, কিছু মানুষের উদাসীনতার ফলে ফের বাড়ছে করোনা। রোগের প্রকোপ সামান্য কমতেই সবাই মুখ থেকে মাস্ক (Mask) খুলে ফেলেছিলেন। ফলে, ফের বাড়ছে সংক্রমণ। আবার শুরু হয়েছে বিধিনিষেধ। এরকম চলতে থাকলে অনুষ্ঠান বন্ধ হবে। সঙ্গীতশিল্পী-সহ অন্যান্য শিল্পীরা বাধ্য হবেন পেশা ছেড়ে অন্য কাজে যোগ দিতে। আর সেখানেও যদি তাঁরা জায়গা না পান, তাহলে আত্মহননের পথ ছাড়া আর কিছু তাঁদের সামনে খোলা থাকবে না। আর তার এই বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন অনিকেত চট্টোপাধ্যায়। নিজের ফেসবুক ওয়ালে রূপকারকে ধুয়ে দেন তিনি। লেখেন,
“গায়ক রূপঙ্কর বলেছেন শিল্পীদের কাজ নেই, অনুষ্ঠান নেই, এরকমটা চলতে থাকলে আত্মহননের পথ বেছে নিতে হবে। কোন শিল্পীদের কথা বলেছেন? গাঁয়ে গঞ্জে যে সব শিল্পী আছেন তাঁদের কথা? যখন মাচা রমরম করে চলছিল, তখন রূপঙ্কর কি তাঁদের জন্য কোনও কথা বলেছেন? একটাও কথা? না বলেন নি। তাহলে কাদের কথা বলছেন? যাঁরা বছর তিন চার আগেও ডেট দিতে পারতেন না? যাঁদের অনেকেরই একাধিক গাড়ি আছে, বাড়ি আছে। তাঁরা আত্মহননের পথ বেছে নেবে? একজন সংবেদনশীল শিল্পী সমাজের ভরসা, মানুষের প্রেরণা।”

এর পরেই অনিকেত লেখেন, “দেশের ৫০% শতাংশ মানুষ খাবারের, কেবল খাবারের জোগাড়ে ব্যস্ত, চাকরি চলে যাচ্ছে, মাইনে নেই, তৃতীয় ওয়েভ আসছে। তাদের সাহায্য করতে হবে, সরকারের কাছে দাবি জানাতে হবে তাদের পাশে দাঁড়ানোর। সেই সময়ে বাংলার অন্যতম গায়ক আত্মহননের কথা বলছেন!! মানুষ মানুষের জন্য গান গাইতে গাইতে আত্মহননের কথা বলছেন শিল্পী নিজেই।” ” … আত্মহনন পথ নয়, মানুষের হাত ধরুন রূপঙ্কর, এখনও আপনি সেই ১০/ ১৫% শতাংশ মানুষের দলেই পড়েন, যাদের মাথার ওপরে ছাদ আছে, খাবার আছে, গাড়ি আছে, ফ্রিজ আছে, ওভেন আছে, আপনি সেই ৩ কি ৪ % মানুষের মধ্যেই পড়েন, যাঁদের ছবি ছাপা হয় কাগজে, যাঁদের মানুষ চেনে। এ দুঃসময় কাটিয়ে উঠবোই আমরা। আত্মহনন নয়, সমিতির সাম্যে ও ঐক্যে, জনতার মুখরিত সখ্যে এই দুঃখ তিমির কেটে যাবে, যাবেই।”

অনিকেতের স্পষ্ট বার্তা নিজের জন্য নয়, লড়তে হবে সবার জন্য। এই অসময় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে জীবনের জীবিকার জন্য লড়াই চালাতে হবে। যদিও অনিকেতের এই পোস্টের কোনও জবাব এখনও দেননি রূপঙ্কর।

আরও পড়ুন:পশ্চিমী ঝঞ্ঝার ধাক্কায় ফের লাইনচ্যুত শীত, আগামী ৭দিন ঊর্ধ্বমুখী পারদ

Previous articleশান্তনুর পর এবার ক্ষোভ উগরে BJP-র হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন বিধায়ক হিরণ
Next articleDelhi High Court: দিল্লি হাইকোর্টের বিশেষ রায়: বেনজির অনুমতি পেলেন অন্তঃসত্ত্বা