এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রিতে ব্যাপক দুর্নীতি, মোদি সরকারের ঘাম ছুটিয়ে আদালতে বিজেপি সাংসদ

নিজে বিজেপি সাংসদ হলেও নিজের দল এমনকি খোদ প্রধানমন্ত্রীকে(Prime Minister) আক্রমণ শানাতেও বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেন না বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী(Subramanian Swamy)। এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরাসরি দুর্নীতির(corruption) অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হলেন এই রাজ্যসভার সাংসদ। তাঁর অভিযোগ, এয়ার ইন্ডিয়ার(Air India) বিলগ্নিকরণ প্রক্রিয়ায় একঝাঁক অনিয়ম ও দুর্নীতির যোগ রয়েছে। অবিলম্বে এ বিষয়ে সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত। দিল্লি হাইকোর্টে স্বামীর দায়ের করা মামলায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি স্বাভাবিকভাবে চাপে ফেলেছে বিজেপি সরকারকে। হাইকোর্টের তরফে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারও টাটা গোষ্ঠীকে ২৪ ঘন্টা সময় দেওয়া হয়েছে এই ইস্যুতে জবাব দেওয়ার জন্য। আগামীকাল বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি রয়েছে।

কেন্দ্রীয় সরকারের বিলগ্নীকরণ নীতিতে এয়ার ইন্ডিয়া এখন টাটার হাতে গিয়েছে। এখনো চলছে হস্তান্তর পর্ব। আর্থিক লেনদেন প্রক্রিয়া শেষ হতে সময় লাগবে আরো ১ মাস। এমন অবস্থায় মাঝেই সুব্রহ্মণ্যম স্বামী অভিযোগ তুলেছেন, এয়ার ইন্ডিয়ার হস্তান্তর প্রক্রিয়া অস্বচ্ছ শুধু নয়, কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি এবং অনিয়ম রয়েছে এর পিছনে। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে টাটার হাতে এয়ার ইন্ডিয়া তুলে দেওয়ায় কারা লাভবান হল? প্রশ্ন তুলেছেন স্বামী। তবে সরকারের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার আদালতকে বলা হয়, এয়ার ইন্ডিয়ার লোকসান এবং তার জন্য বাড়তে থাকা ঋণের বোঝা সরকারের পক্ষে বহন করা আর সম্ভব হচ্ছিল না। তাই বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত। এখানে নিয়ম মেনেই টাটাকে এয়ার ইন্ডিয়ার ভার দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন:ওমিক্রন উদ্বেগের মাঝেই ফ্রান্সে খোঁজ নয়া স্ট্রেনের, আরও বেশি সংক্রামক দাবি বিজ্ঞানীদের

সুব্রহ্মণ্যম স্বামী অবশ্য দাবি করেছেন, গোটা প্রক্রিয়ায় এয়ার ইন্ডিয়া নেওয়ার দৌড়ে ছিল মাত্র দু’টি সংস্থা। টাটা গোষ্ঠী এবং স্পাইস জেট নেতৃত্বাধীন কয়েকটি কোম্পানির জোট। মাদ্রাজ হাইকোর্টে চলা একটি মামলার প্রেক্ষিতে এয়ার ইন্ডিয়া কেনার জন্য দরপত্রই জমা দিতে পারেনি স্পাইস জেট। সুতরাং দৌড়ে টাটা ছাড়া আর কেউ ছিল না। এভাবে কি এয়ার ইন্ডিয়ার মতো সংস্থার বিলগ্নিকরণ সঙ্গত? এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কেন্দ্রের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তাঁর দাবি, স্পাইস জেট কোনও কনসর্টিয়ামের সদস্য ছিল না। কিন্তু কারা এয়ার ইন্ডিয়ার হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় যুক্ত? কোন কোন সরকারি দপ্তর, অফিসার এবং কর্তৃপক্ষ? সুব্রহ্মণ্যম স্বামী বলেছেন, এই সব প্রশ্নের উত্তর পেতেই তদন্ত হওয়া দরকার।

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে স্বামী দাবি করেছিলেন তিনি তিনটি সরকার বদলের কারিগর। এর আগে স্বামীর রুজু করা টুজি দুর্নীতি থেকে কমনওয়েলথ গেমস—সর্বত্র অনিয়মের বিরাট ইস্যু তৈরি হয়েছিল। ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকা নিয়ে তাঁর করা মামলায় এখনও নাজেহাল সোনিয়া গান্ধীরা। অর্থাৎ স্বামী কোনও অভিযোগ দায়ের করার অর্থ তা কোনওভাবেই হালকা বিষয় নয়। ফলস্বরূপ এয়ার ইন্ডিয়া ইস্যুতে স্বামীর পদক্ষেপ গেরুয়া শিবিরের কপালে আশঙ্কার কালো মেঘ ঘনাতে শুরু করেছে।

Previous articleBreakfast Sports: ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস
Next articleফের করোনা আক্রান্ত রাজ-শুভশ্রী, চলচ্চিত্র উৎসব মিস করবেন টলিউডের তারকা দম্পতি