লাগামহীন করোনা (Corona) সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যেই আগামী ২২ জানুয়ারি রাজ্যের চার পুরনিগমের ভোট (Corporation Election) অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এদিকে মহামারির জন্য ভোট স্থগিতের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Kolkata High Court) দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। আজ, বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি। এবং এদিনই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে পুরভোটের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন:Weather Forecast:আজও রাজ্যজুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস, কবে জাঁকিয়ে পড়বে শীত?
তার আগে হাইকোর্টের নির্দেশে ফের হলফনামা জমা দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। যেখানে স্পষ্ট করা হয়েছে, শিলিগুড়ি, আসানসোল, বিধাননগর ও চন্দননগর পুরভোটের জন্য সাড়ে ১২ হাজার ভোট-কর্মী তৈরি রাখা হয়েছে। ভোট কর্মীদের মধ্যে ৩০ শতাংশ যদি করোনায় আক্রান্তও হন, তাহলে স্ট্যান্ডবাই হিসেবে অতিরিক্ত আরও ৩ হাজার ৭৫০জন ভোট-কর্মীকে রিজার্ভে রাখা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা ও সুরক্ষাবিধির তদারকিতে সাড়ে ৯ হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন থাকবে। রিজার্ভে রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত সংখ্যায় অতিরিক্ত পুলিশ কর্মীরাও। বুথে বুথে থাকে পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১৭ জানুয়ারি থেকে চার পুরসভায় টিকাকরণের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে। সমস্ত ভোটার যাতে ভ্যাকসিন পায়, সেটা নিশ্চিত করতেই এমন কর্মসূচি কমিশনের।

এদিকে পুরভোটের জন্য নতুন করে একাধিক সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে কমিশন। এবং তা হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে জানানো হয়েছে। প্রায় ৩ হাজার EVM তৈরি রাখা হয়েছে। যেগুলি এম-১ ক্যাটিগরির। তবে ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাট থাকছে না। এছাড়াও বুথে ভোট দানের সময় মাত্র ভোট-কর্মী ও এজেন্ট ছাড়া একজনের বেশি ভোটার থাকতে পারবেন না। করোনায় আক্রান্ত ভোটারদের জন্য শেষ এক ঘন্টা অর্থাৎ বিকেল ৪টে থেকে ৫টার মধ্যে পিপিই কিট পরে ভোট দিতে আসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কনটেইনমেন্ট জোনের মধ্যে থাকা ভোটাররাও শেষের এক ঘণ্টায় ভোট দিতে আসতে পারবেন। এই বিষয়টি দেখার জন্য বিভিন্ন জায়গায় নোডাল স্বাস্থ্য আধিকারিক নিয়োগ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
